ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

দাম কমেছে মাল্টা-কমলার, চড়া আম, ড্রাগনের চমক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৩৫ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২০

করোনাভাইরাস প্রকোপের মধ্যে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া মাল্টা ও কমলা লেবুর দাম কিছুটা কমেছে। তুলনামূলক কম দামে মিলছে আপেলও। তবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপের শুরুতে মাল্টা, কমলা লেবু, আপেল, আঙুরের আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে দাম বেড়ে যায়। এখন এসব ফলের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এ কারণে দামও কমেছে।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাল্টা কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। যা ঈদের আগে ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। মাল্টার পাশাপাশি অস্বাভাবিক দাম বাড়ে কমলা লেবুর। কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় ওঠা কমলা লেবু এখন ১৬০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে সবুজ রঙের আপেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, যা করোনার প্রকোপে ১৮০ থেকে ২৩০ টাকায় উঠেছিল। চায়না আপেল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, যা আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি। সাউথ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের আপেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে, যা আগে ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি।

fruits

রামপুরার ব্যবসায়ী মিজান বলেন, ‘করোনার শুরুতে মাল্টা, কমলা লেবু, আপেলের সরবরাহ বেশ কমে যায়। তবে কোরবানির ঈদের (ঈদুল আজহা) আগে থেকেই এসব ফলের সরবরাহ বেড়েছে। যে কারণে দামও কিছুটা কমেছে। যে মাল্টা আগে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি, এখন তা ১৬০ টাকা বিক্রি করেছি।’

বাজারে এখন আম্রপালি ও আশ্বিনি আম পাওয়া যাচ্ছে। ঈদের আগে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আশ্বিনি আম এখন একশ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।

বাজার ও মান ভেদে আশ্বিনি আমের কেজি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর ঈদের আগে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আম্রপালি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি।

মতিঝিলের ফল বিক্রেতা আমিনুল বলেন, ‘আমের সিজন শেষ। বাজারে আম্রপালি পাওয়া যাচ্ছে খুব কম। আশ্বিনি আম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে আমের দাম চড়া। এখন যাওবা কিছু আম পাওয়া যাচ্ছে কিছুদিন পর তা-ও পাওয়া যাবে না।’

fruits

এদিকে আপেল, মাল্টা, কমলা লেবু, আমের পাশাপাশি বাজারে এখন লটকন, পেয়ারা, আনার, ড্রাগন ফলের সরবরাহ রয়েছে বেশ। ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজির মধ্যে ভালো মানের লটকন পাওয়া যাচ্ছে। আনার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। পেয়ারা মানভেদে ৪০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে এবার নতুন আকর্ষণ হিসেবে এসেছে ড্রাগন। থাইল্যান্ডের ফল হিসেবে পরিচিত ড্রাগন এখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদন হচ্ছে। ফলে দামও তুলনামূলক কম। মানভেদে ড্রাগনের কেজি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আগে ড্রাগনের কেজি ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা বিক্রি হতো।

পল্টনের ফল বিক্রেতা জুয়েল বলেন, ‘গত বছরেও থাইল্যান্ড থেকে আসা ড্রাগন আমরা ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এবার দেশের ভেতরে প্রচুর ড্রাগন উৎপাদন হচ্ছে, মানও বেশ ভালো। কিন্তু দাম কম। গত বছর যে মানের ড্রাগন ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, তা এ বছর ৬০০ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে।’

এমএএস/এসআর/জেআইএম