সরকারি চাকরিজীবীদের জিপিএফ-সিপিএফে সুদ ১৩ শতাংশ বহাল
সরকারি চাকরিজীবীদের সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) ও প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলের (সিপিএফ) সুদের হার ১৩ শতাংশ বহাল রাখা হয়েছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এ সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরও এক্ষেত্রে সুদহার ১৩ শতাংশই ছিল।
বুধবার (১২ আগস্ট) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার জিপিএফ ও সিপিএফের সুদের হার কিছুটা কমানোর চিন্তা করা হয়েছিল। ব্যাংকে স্থায়ী আমানতে (এফডিআর) সুদের হার বর্তমানে ৬ শতাংশ এবং বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার আগের তুলনায় কমানোর কারণে জিপিএফ ও সিপিএফের সুদের হারকে বিদ্যমান হার ১৩ শতাংশ থেকে কমানোর পক্ষে মত এসেছিল। কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত আর কমানো হয়নি।
নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) এবং প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলের (সিপিএফ) মুনাফার হার গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের ন্যায় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্যও ১৩ শতাংশ বহাল রাখা হলো। তবে সকল সিপিএফভুক্ত প্রতিষ্ঠানের (স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, করপোরেশন ইত্যাদি) আর্থিক সামর্থ্য একরূপ না হওয়ায় প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাসমূহ তাদের নিজস্ব আর্থিক বিধি-বিধান ও সামর্থ্য অনুযায়ী সিপিএফে জমাকৃত আমানতের ওপর মুনাফা সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশ ধরে হ্রাসকৃত হারে নির্ধারণ করতে পারবে।
জিপিএফে সুদ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। এই তহবিলে রাখলে মুনাফাসহ টাকা দেয় সরকার। চাকরি শেষে ভালো একটা অঙ্ক নিয়ে ঘরে ফিরতে পারেন কর্মচারীরা। আর সিপিএফে যে পরিমাণ টাকা রাখেন কর্মচারীরা, সরকার ওই পরিমাণ টাকাই তাদের অনুদান দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত জমার ওপর কোনো মুনাফা দেয় না। রাজস্ব খাত থেকে যারা বেতন পান, তারাই জিপিএফে টাকা রাখতে পারেন। রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে যারা বেতন পান, তারা টাকা রাখেন সিপিএফে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি কর্মচারীরা আগে মূল বেতনের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত জিপিএফে টাকা রাখতে পারতেন। তবে তা পারতেন সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের বেশি বেতন পাওয়া কর্মচারীরাই। এখন মূল বেতনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ জিপিএফে রাখা যায়।
এমইউএইচ/এমএসএইচ/এমকেএইচ