টাকার সঙ্গে শেয়ার দেবে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ হিসেবে ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে নগদ ৫০ টাকা এবং পাঁচটি সাধারণ শেয়ার পাবেন।
লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি কোম্পানিটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা শেষে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১০ অক্টোবর। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ আগস্ট।
সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮৫ পয়সা।
ডিএসই জানিয়েছে, লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকবে না। অর্থাৎ শেয়ারের দাম যতখুশি বাড়তে পারবে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্ধারিত সীমার নিচে শেয়ারের দাম নামতে পারবে না।
এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৪৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪২ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ৩ পয়সা বেড়েছে।
মুনাফার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৩০ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ১৪ টাকা ৮৫ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৭ পয়সা।
এমএএস/এসআর/এমকেএইচ