অনুমতি পেলে ৩ জুলাই টার্কিশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইট
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ৩ জুলাই থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করবে টার্কিশ এয়ারলাইন্স।
শনিবার জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স।
টার্কিশ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের সেলস অ্যান্ড ট্রাফিক অফিসার এজাজ কাদরি জাগো নিউজকে বলেন, '১ জুলাই থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্স ফ্লাইট চালানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে বেবিচককে জানানো হয়েছে। অনুমতি পেলে রোববার, মঙ্গলবার ও শুক্রবার অর্থাৎ সপ্তাহে ৩ দিন ফ্লাইট চলাচল করবে। সেক্ষেত্রে বেবিচকের অনুমতি পেলে আমরা আগামী ৩ জুলাই (শুক্রবার) প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করবো। অনেকে আগে থেকেই বিভিন্ন গন্তব্যের টিকেট কিনে রেখেছেন। তাদের যাত্রার তারিখ রোববার মঙ্গলবার ও শুক্রবার ছাড়া অন্য তারিখে হয়, সেক্ষেত্রে তারা বিনামূল্যে তাদের টিকেটগুলো ৩ দিন দিনের যে কোন ১ দিন নিতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফ্লাইট চলাচল নিশ্চিত করার জন্য ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স। যাত্রীদের ফ্লাইটে ওঠার আগেই একটি হাইজেনিক কিট দেয়া হবে। এতে মাস্ক-গ্লোভসসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী থাকবে।
টার্কিশ এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে। ট্রানজিটের মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের কাছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স বেশি জনপ্রিয়।
এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে এবং অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বেবিচক। এরপর আরেকটি আদেশে চীন বাদে সব দেশের সাথে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সাথে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ১৪ ও ৩০ এপ্রিল, ৭ , ১৬ ও ৩০ মে এবং ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১৬ জুন থেকে ঢাকা থেকে লন্ডন রুটে ও কাতার রুটে এবং ২১ জুন থেকে এমিরেটসকে ফ্লাইট চলাচল করার অনুমতি দেয় বেবিচক।
এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে মালিন্দো এয়ার, এমিরেটস, এয়ার অ্যারাবিয়া, ফ্লাই দুবাই এবং টার্কিশ এয়ারলাইন্স।
এআর/এনএফ/পিআর