ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

করোনায় মারা যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবারকে মেটলাইফের অনুদান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:২৮ এএম, ২২ জুন ২০২০

কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এমন নির্দিষ্টসংখ্যক সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীর অসহায় পরিবারের জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশনকে দেড় লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে মেটলাইফ ফাউন্ডেশন।

রোববার মেটলাইফের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে পাওয়া দেড় লাখ মার্কিন ডলার সাজেদা ফাউন্ডেশন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এমন নির্দিষ্ট সংখ্যক সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীর অসহায় পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করবে। পাশাপাশি অনুদানের একটি অংশ নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত সাজেদা ফাউন্ডেশনের কোভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টারের সক্ষমতা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার কাজে ব্যবহার করবে।

এতে জানানো হয়েছে, নির্বাচিত প্রত্যেকটি পরিবার আর্থিক সহায়তা হিসেবে দুই লাখ টাকা করে পাবে। এ ক্ষেত্রে, কারা আর্থিক সহায়তার জন্য বিবেচিত হবেন, সে প্রক্রিয়া এবং আর্থিক সহায়তা পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছানোর বিষয়টি তদারকি করবে সাজেদা ফাউন্ডেশন।

কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সরকারি বা বেসরকারি এবং অন্যান্য সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিকস এবং ল্যাব টেকনিশিয়ান/ টেকনোলজিস্ট যারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের পরিবার এ আর্থিক সহায়তার জন্য বিবেচিত হবেন।

এ বিষয়ে সাজেদা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী জাহেদা ফিজা কবীর বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংকটের শুরু থেকেই আমরা একটি কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশন সেন্টার পরিচালনা করছি। এটা পরিচালনা করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, এ সংকটকালীন সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা যে কতটা চাপ ও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। সহায়তার জন্য মেটলাইফ ফাউন্ডেশনকে আমরা ধন্যবাদ জানাই এবং আশা করি, এ অনুদান স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবারকে সহায়তার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হিসেবে গণ্য হবে।’

মেটলাইফ বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ হাম্মাদুল করীম বলেন, ‘দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতির সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সফলভাবে পরিচালনার জন্য সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য। মেটলাইফ ফাউন্ডেশন ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের এ যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে নির্ভীক সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

এমএএস/জেডএ/জেআইএম