ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

দাম কমেছে আটা-ময়দার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৫৪ পিএম, ০৩ জুন ২০২০

ঈদের পর রাজধানীর বাজারগুলোতে একের পর এক পণ্যের দাম কমছে। বয়লার মুরগি, এলাচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মসুর ডাল, চিনির পর এখন কমেছে আটা ও ময়দার দাম। এর মাধ্যমে ঈদের পর ৯টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমল। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভীবাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মিরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।

টিসির তথ্য অনুযায়ী, খুচরা বাজারে প্যাকেট আটার দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ঈদের আগে ৩৩-৪২ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া প্যাকেট আটার দাম কমে ৩০-৩৫ টাকা হয়েছে।

প্যাকেট ময়দার দাম ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ৪২-৪৮ টাকা।

ঈদের পর আটা ও ময়দার দাম কমার তথ্য দিয়েছে খুচরা ব্যবসায়ীরাও। রামপুরার মুদি ব্যবসায়ী শিপলু বলেন, ঈদের পর ময়দার দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে। আগে যে ময়দা ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল তা এখন ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩২ টাকার আটা ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ঈদের পর দাম কমা আদার দাম বুধবার (৩ জুন) আর এক দফা কমেছে। এর মাধ্যমে ঈদের পর দেশি আদার দাম কমেছে ৪০ শতাংশের ওপরে। ঈদের আগে ২০০-২২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি আদার দাম কমে ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ১৬০-২০০ টাকা।

বয়লার মুরগির দাম কমেছে ২২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ঈদের আগে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বয়লার মুরগি দাম ১৩০-১৪০ টাকায় নেমেছে।

দাম কমার তালিকায় এর পরের স্থানেই রয়েছে আমদানি করা পেঁয়াজ। পণ্যটির দাম ২২ দশমিক ২২ শতাংশ কমে কেজি ৩০-৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা আগে ছিল ৪০-৫০ টাকা।

আমদানি করা পেঁয়াজের পাশাপাশি দাম কমেছে দেশি পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে ৪০-৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৫-৫০ টাকা।

টিসিবি জানিয়েছে, দেশি ও আমদানি উভয় ধরনের রসুনের দাম কমেছে। দেশি রসুনের দাম ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ কমে কেজি ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে ছিল ১১০-১৩০ টাকা। আমদানি করা রসুনের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ১৫০-১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আমদানি করা রসুনের দাম কমে ১২০-১৩০ টাকা হয়েছে।

বড় দানার মসুর ডালের দাম কমেছে ৫ দশমিক ৮৮ শতংশ। ঈদের আগে ৮০-৯০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এ ডাল এখন ৭৫-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির দাম ঈদের পর ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে ৬০-৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৬০-৭০ টাকা।

ঈদের পর দাম কমার তালিকায় রয়েছে মসলা পণ্য এলাচ। এ পণ্যটির দাম কমে ৩০০০ টাকা কেজিতে নেমেছে, যা ঈদের আগে ৩৬০০-৪২০০ টাকা ছিল।

বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম কমলেও ঈদের পর ছোলা, ডিম ও আলুর দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ছোলার দাম ৪ শতাংশ বেড়ে কেজি ৬০-৭০ টাকা হয়েছে। আলুর দাম ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়ে ২৮-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম ১৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়ে হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকা।

এমএএস/এএইচ/এমএস