ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

করোনা : লভ্যাংশে সংশোধনী আনল উত্তরা ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:১৩ এএম, ০১ জুন ২০২০

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে লভ্যাংশে সংশোধনী এনেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উত্তরা ব্যাংক। আগের ঘোষিত লভ্যাংশ স্থগিত করে এখন কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৭ শতাংশ নগদ ও ২৩ শতংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য লভ্যাংশ হিসেবে ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে নগদ ৭০ টাকা এবং ২৩টি সাধারণ শেয়ার পাবেন।

কোম্পানিটির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে উত্তরা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশের সীমা বেঁধে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের লভ্যাংশ সীমা বেঁধে দেয়া সংক্রান্ত নির্দেশনার কারণে এখন আগের ঘোষিত লভ্যাংশে পরিবর্তন আনল উত্তরা ব্যাংক। নতুন ঘোষিত এ লভ্যাংশ আগামী ২৫ জুন বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেয়া হবে।

সমাপ্ত হিসাব বছরে সাবসিডিয়ারিসহ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ৪ টাকা ৫৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৩৬ পয়সা।

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রেক্ষিতে গত মাসে ব্যাংকের লভ্যাংশের সীমা বেঁধে যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য কোনো ব্যাংকই ১৫ শতাংশের বেশি নগদ এবং নগদ ও বোনাস শেয়ার মিলিয়ে ৩০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিতে পারবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ-সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতোপূর্বে গৃহীত ডিফেরাল (Deferral) সুবিধার অধীন নয় এমন বা ২০১৯ সালের জন্য কোনো ডিফেরাল সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যে সকল ব্যাংকের ২.৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১২.৫০ শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম, সে সকল ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।

প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতোপূর্বে গৃহীত ডিফেরাল সুবিধার অধীন নয় এমন বা ২০১৯ সালের জন্য কোনো ডিফেরাল সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যে সকল ব্যাংকের ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১.২৫ শতাংশ থেকে ১২.৫০ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম, সে সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৭.৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।

প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতোপূর্বে গৃহীত ডিফেরাল সুবিধার অধীন নয় এমন বা ২০১৯ সালের জন্য কোনো ডিফেরাল সুবিধা সম্পূর্ণরূপে সমন্বয় করা হলে যে সকল ব্যাংকের ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১.২৫ শতাংশ বা তার বেশি থাকে সে সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।

প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতোপূর্বে গৃহীত ডিফেরাল সুবিধার অধীন নয় এমন বা ২০১৯ সালের জন্য কোনো ডিফেরাল সুবিধা সম্পূর্ণরূপে সমন্বয় করা হলে যে সকল ব্যাংকের ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১.২৫ শতাংশ এর কম কিন্তু ন্যূনতম সংরক্ষিত মূলধন ১০ শতাংশ হবে সে সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমদনক্রমে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া সীমার অতিরিক্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করায় এনসিসি ব্যাংকের লভ্যাংশ স্থগিত করা হলেও উত্তরা ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংকের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও জানানো হয়নি। উত্তরা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ ও ২৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ইস্টার্ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।

এমএএস/বিএ/পিআর