শেয়ারবাজারে লেনদেন চালুর অনুমতি দিল বিএসইসি, শুরু রোববার
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দুই মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর দেশের শেয়ারবাজারে আবার লেনদেন চালুর অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭২৬তম কমিশন সভায় এ অনুমতি দেয়া হয়।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই অনুমতির ফলে আগামী রোববার (৩১ মে) থেকে শেয়ারবাজারে আবার লেনদেন চালু করা হবে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে।
বিএসইসির কমিশন সভার বিষয়ে নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর বিস্তাররোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রণীত সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অফিস আদেশ পরিপালন সাপেক্ষে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ও সিএসই) লেনদেন ও সেটেলমেন্টসহ এ সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ড পুনরায় শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পক্ষ থেকে অনাপত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিএসইসির সিদ্ধান্তের জন্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, ‘শেয়ারবাজারে আবার লেনদেন চালু করার অনুমতি দেয়ায় কমিশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আগামী রোববার থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হবে। এর জন্য নতুন করে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভা করার প্রয়োজন নেই। ম্যানেজমেন্ট থেকে শিগগির বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে।’
এদিকে ৩১ মে থেকে লেনদেন চালুর লক্ষ্যে গত ২৪ মে ডিএসইর কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অফিসে যোগদান করার জন্য চিঠি দেয়া হয়। ডিএসইর চেয়ারম্যানের নির্দেশে মানব সম্পদ বিভাগ থেকে সকল বিভাগের প্রধানের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএসইর চেয়ারম্যান আগামী ৩১ মে থেকে লেনদেন চালুর জন্য প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। ফলে আগামী ৩১ মে থেকে ডিএসইর নিয়মিত কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষ্যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৩১ মে অফিসে যোগদানের অনুরোধ করা হয়েছে। যা বিভাগ প্রধানদেরকে তার বিভাগের সবাইকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার অংশ হিসেবে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে শেয়ারবাজারও ২ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। যা শুরু হয়েছে গত ২৬ মার্চ।
করোনাভাইরাসের কারণে সরকার সর্বপ্রথম গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এরপর প্রথম দফায় ৭ দিন সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয় এবং দ্বিতীয় দফায় ৩ দিন সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করে। এরপর ১১ দিন বাড়িয়ে সাধারণ ছুটি ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত, আরও ১০দিন বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত এই বর্ধিত করা হয়। যা পঞ্চম দফায় ১১ দিন বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছিল। আর সর্বশেষ ১৪ দিন সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। সরকারের এই সাধারণ ছুটি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ধাপে ধাপে শেয়ারবাজারের লেনদেনও বন্ধ রাখা হয়।
এমএএস/এফআর/পিআর