ঈদের আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকছে টোকিও স্কয়ার শপিং কমপ্লেক্স
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে অনেক শপিংমল ও মার্কেটের পাশাপাশি রাজধানীর টোকিও স্কয়ার শপিং কমপ্লেক্স আগামী ঈদ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোমবার (১১ মে) টোকিও স্কয়ার শপিং কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আজম খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর তাণ্ডব শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশেও এর প্রভাব শুরু হয়েছে। ফলে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘদিন সাধারণ ছুটির পরে সরকার কর্তৃক সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শপিংমল খোলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে জাপান গার্ডেন সিটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দোকান মালিক সমিতির কর্মকর্তারা সবাই ঢাকা শহরে সংক্রমণের হার রোধ করতে ঈদ পর্যন্ত শপিংমল বন্ধ রাখার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক ক্রেতা সাধারণের যে স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মেনে চলাও কষ্টকর। সেটাও আমরা বিবেচনায় এনেছি।
গতকাল রোববার (১০ মে) থেকে দোকান ও শপিংমল সীমিত আকারে খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস উদ্বেগজনকহারে বিস্তারের কারণে রাজধানীসহ সারাদেশে প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ শপিংমল ও মার্কেট ঈদের আগে না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
এদিকে সোমবার (১১ মে) এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দোকান কিংবা প্রতিষ্ঠানটি তাৎক্ষণিক বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনেই সীমিত আকারে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্য করা গেছে যেসব ক্রেতা শপিং করতে এসেছেন তারা মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই কেনাকাটা করছেন। মার্কেটগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছি।
হেলাল উদ্দিন বলেন, তারপরও যদি কেউ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে না পারেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে না পারেন; সেক্ষেত্রে বিভিন্ন সমিতি ও মার্কেট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব তাৎক্ষণিক দোকান কিংবা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়ার। যদি তাও সম্ভব না হয়; তাহলে পুলিশের সহায়তা নেবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছি। তাই কোনো মতেই বেখেয়াল হলে চলবে না।
এর আগে গত সোমবার (৪ মে) সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ১০ মে থেকে দোকান ও শপিং মল সীমিত আকারে খোলার অনুমতি দেয়। এদিকে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় রমজান মাসে রাজধানীর অন্যতম সেরা দুটি শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক ও বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সসহ অধিকাংশ শপিংমল না খোলার নিদ্ধান্ত নিয়েছে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারাদেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শপিং মলও বন্ধ রাখতে বলা হয়। পর্যায়ক্রমে ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
এদিকে মহামারি করোনাভাইরাস দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট ২৩৯ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৩৪ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ হাজার ৬৯১।
এমইউএইচ/এমএফ/পিআর
সর্বশেষ - অর্থনীতি
- ১ ৫ মাসে এক টাকাও খরচ করতে পারেনি স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- ২ মিডল্যান্ড ব্যাংক ও সেবা ফিনটেক লিমিটেডের মধ্যে এমওইউ সই
- ৩ বিদ্যুৎ বিভাগের অবকাঠামো উন্নয়নে ২৭ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এআইআইবি
- ৪ ৩ বছরে দারিদ্র্যসীমার নিচে দেশের আরও সাড়ে ৭৮ লাখ মানুষ
- ৫ উন্নয়নে গতি নেই, ৫ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ