ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ঈদের আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকছে মৌচাক ও আনারকলি মার্কেট

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:২০ পিএম, ০৮ মে ২০২০

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে অনেক শপিংমল ও মার্কেটের পাশাপাশি মৌচাক এবং আনারকলি মার্কেটও ঈদের আগ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহির আহমেদ ভূঁইয়া জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জহির আহমেদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দোকানদার ও ক্রেতা উভয়ের স্বাস্থ্যের দিকটি বিবেচনা করে মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে একই কারণে নিউমার্কেট ঈদের আগ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে রোজায় না খোলার সিদ্ধান্ত নেয় দেশের অন্যতম সেরা শপিংমল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্ক। এই দুই জায়ান্ট শপিংমলের এমন সিদ্ধান্তের পর নিরাপত্তার স্বার্থে বায়তুল মোকাররম মার্কেটও ঈদের আগ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

৪ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোকান ও শপিংমল ১০ মে থেকে খোলার কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। তবে বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ রোগের বিস্তাররোধ এবং পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার আগামী ৭ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি/জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা/সীমিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শর্তাদি বিবেচনা করে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট, শপিংমলসহ অন্যান্য কার্যাবলি ১০ মে থেকে সীমিত আকারে খুলে দিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হলো। তবে এক্ষেত্রে আন্তঃজেলা ও আন্তঃউপজেলা যোগাযোগ/চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টায় খুলবে এবং বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত সতর্কতা গ্রহণ করার কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ক্রেতার নিজ এলাকার ২ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমলে কেনাকাটা করতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এতে আরও বলা হয়, প্রত্যেক ক্রেতাকে নিজ পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স) ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগরীতে শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখার বিষয়ে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।

এমইউএইচ/এসআর/জেআইএম