এপ্রিলে নেয়া ঋণের সুদ স্থগিত নয়
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ব্যবসায়িক ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যাংক ঋণের সুদ আদায় দুই মাস স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সুবিধা চলতি বছরের ৩১ মার্চের আগে নেয়া ঋণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এপ্রিলে বিতরণ করা ঋণের যথাযথ সুদ আদায় করতে পারবে ব্যাংকগুলো।
সোমবার (৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট ব্যবসায়িক পরিস্থিতি বিবেচনায় উক্ত সার্কুলারের মাধ্যমে ব্যাংকের সব প্রকার ঋণ/বিনিয়োগের ওপর চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে আরোপিত ও আরোপযোগ্য সুদ বা মুনাফা ‘সুদবিহীন ব্লকড হিসাবে’ স্থানান্তর করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্থানান্তরিত সুদ গ্রহিতার কাছ থেকে আদায় করা যাবে না এবং এরূপ সুদ/মুনাফা ব্যাংকের আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না মর্মেও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
নতুন নির্দেশনায় ঋণ, বিনিয়োগের ওপর আরোপিত ও আরোপযোগ্য সুদ বা মুনাফা ব্লক হিসাবে এবং আয় খাতে স্থানান্তরের বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে- চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত গ্রাহকদের যেসব ঋণ প্রদান করা হয়েছে তাদের দুই মাসের সুদ স্থগিত হবে। ১ এপ্রিল হতে নতুনভাবে বিতরণ বা উত্তোলন করা ঋণের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ ১ এপ্রিলের পর বিতরণ করা ঋণের সুদ যথাযথ নিয়মে আদায় করতে পারবে।
এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে রোববার (৩ মে) সব ধরনের ঋণের সুদ দুই মাস স্থগিত করে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিতকরন ও গতিশীল রাখার জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে সকল প্রকার ঋণ বা বিনিয়োগের ওপর ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এই দুই মাসের সুদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো সুদ আদায় করা যাবে না। এরূপ সুদ ব্যাংকের আয় খাতেও স্থানান্তর করা যাবে না।
কোনো ব্যাংক ইতিমধ্যেই কোনো ঋণের সুদ আয় খাতে স্থানান্তর করে থাকলে তা রিজার্ভ এন্ট্রির মাধ্যমে সমন্বয় করতে হবে। ব্লকড হিসেবে রক্ষিত মুনাফা সমন্বয়ের বিষয়ে পরবর্তীতে অবহিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে
এসআই/এফআর/পিআর