রমজানকে পুঁজি করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম, তদারকিতে বাণিজ্য সচিব
আসছে রমজান মাস। পবিত্র মাসকে পুঁজি করে ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীরা সবধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি তদারকি করতে এবার মাঠে নামলেন বাণিজ্য সচিব ড. মো জাফর উদ্দীন।
সোমবার রাজধানীর পুরান ঢাকার শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বাণিজ্য সচিব বাজার অভিযান সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন। এসময় আসন্ন রমজানে চাল, ডাল, তেল, আটা, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিক, স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন করা, প্রদর্শনকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি না করা, ক্রয়কৃত মূল্যের সঙ্গে বিক্রয় মূল্য সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে বলা হয়। পাশাপাশি আসন্ন রমজান ও চলমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে কেন্দ্র করে অতি মুনাফা লাভ থেকে বিরত থাকতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানানো হয়।
কেউ যদি অনৈতিকভাবে দাম বাড়ায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেন সচিব।
এ সময় সচিব টিসিবির ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের তদারকি করেন।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মন্ডল।
অভিযানে সার্বিক সহায়তা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিরা।
সোমবার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। রোজায় ইফতারের অন্যতম উপকরণ ছোলার দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা মসুর ডালের দাম আরেক দফা বেড়ে ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে যা ছিল ৭৫-৮০ টাকা। ছোট দানার মসুর ডাল ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১২-১২০ টাকা।
কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ডাবলি ৫৫-৬০ টাকা, মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। অ্যাঙ্কর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা।
রোজার আগে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে খেসারি ডালের। গত এক সপ্তাহ আগের যে খেসারির ডাল বিক্রি হতো ৫৫-৬০ টাকা। এখন পাড়া মহল্লার দোকানে তা বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকায়।
ভোজ্যতেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন স্থির আছে ৯৫ টাকা লিটারে, পামতেল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়।
ভরা মৌসুম সত্ত্বেও আরেক দফা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়ে ৬০-৬৫ টাকায় ঠেকেছে এটি। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আদার দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। বাজারে এখন চায়না আদা ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। দেশি আদা প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১২০-১৪০ টাকা। রসুন কেজিতে ৪০-৬০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৪০-১৬০ টাকা।
এসআই/এসএইচএস/জেআইএম