মার্চের বেতন পাননি এক লাখের বেশি পোশাক শ্রমিক
দেশের দুই হাজার ২৭৪টি তৈরি পোশাক শিল্প-কারখানার মধ্যে দুই হাজার ৭১টির মালিকরা তাদের ২৩ লাখ ৭০ হাজার শ্রমিকের মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছেন। তবে এখনও ২০৩টি কারখানার শ্রমিকরা বেতন-ভাতা পাননি।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বিজিএমইএর তথ্য বলছে, বর্তমানে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানায় কর্মরত ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৪১৭ শ্রমিকের মধ্যে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন ২৩ লাখ ৭০ হাজার ৯১৭ জন। এ হিসাবে এখনও মার্চ মাসের বেতন পাননি এক লাখ ১ হাজার ৫০০ পোশাক শ্রমিক।
সংগঠনটি জানিয়েছে, বিজিএমইএর সদস্য দুই হাজার ২৭৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুই হাজার ৭১টি প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে যা মোট কারখানার ৯১ দশমিক ০৭ শতাংশ । এছাড়া আর বাকিদের বেতন পরিশোধ প্রক্রিয়াধীন।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, বেশিরভাগ বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে। যারা বেতন দেননি তাদের অধিকাংশ ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আর্থিক সমস্যা, ব্যাংকিং জটিলতা ও চলমান পরিস্থিতিতে যাতায়াতের কারণে বেতন পরিশোধ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে আগামী ২০ থেকে ২২ এপ্রিলের মধ্যে শতভাগ শ্রমিক মার্চে বেতন পাবেন বলেন তিনি আশ্বাস দেন।
এদিকে বেতন না পেয়ে করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগকালীন সময়েও মার্চ মাসের বেতন-ভাতার দাবিতে প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের মজুরি না দেয়া গার্মেন্টস মালিকদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নামক একটি সংগঠন। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
এর আগে ১৩ এপ্রিল এক বিবৃতিতে চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শ্রমিকদের মার্চের বেতন ১৬ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
বিবৃতিতে সব শিল্প-কলকারখানার শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন ১৬ এপ্রিলের মধ্যেই পরিশোধের জন্য মালিকদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, এ নির্দেশ না মানলে বা উক্ত তারিখের মধ্যে বেতন প্রদানে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে সরকারি নির্দেশনা মেনে শ্রমিকদের ঘরে থাকার আহ্বান জানান।
এসআই/এসআর/পিআর