ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

১৮০ থেকে ৮০ টাকায় নেমেছে সজনের ডাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:২০ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২০

এক সপ্তাহ আগে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সজনের ডাটার দাম কমে ৮০ টাকা কেজিতে নেমেছে। তবে এখনও বাজারের সব থেকে দামি সবজির তালিকায় রয়েছে এ সবজিটি।

সজনের ডাটার দাম কমলেও বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারের বেশিরভাগ সবজির কেজি এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। তবে নতুন করে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

শনিবার (১১ এপ্রিল) সকালে রামপুরা মোল্লাবাড়ি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা সজনের ডাটার কেজি বিক্রি করছেন ৮০-১০০ টাকা। একই দামে বিক্রি হতে দেখা যায় রামপুরা বাজার ও মালিবাগ হাজীপাড়ায়। এক সপ্তাহ আগেই এই বাজারগুলোতে সবজিটি ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে সোহেল নামের এক সবজিবিক্রেতা বলেন, ‘সজনের ডাটা মৌসুমি সবজি। সবসময় পাওয়া যায় না। বাজারে চাহিদাও অনেক। এ কারণে দাম বেশি।’

তিনি বলেন, গত সপ্তাহেও এক কেজি সজনের ডাটা ১৮০ টাকা বিক্রি করেছি। আজ ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। কারণ এখনকার সজনের ডাটার বয়স হয়ে গেছে। এর স্বাদও তুলনামূলক কম। এ কারণে দাম কমছে। তবে সামনে আর দাম কমার সম্ভবনা খুব একটা নেই। কারণ এটি পাওয়ায় পাবে আর অল্প কিছুদিন।’

বাজারটি থেকে সজনের ডাটা কেনা আরিফুল বলেন, ‘আমাদের বাসার সবাই সজনের ডাটা পছন্দ করে। গত সপ্তাহে আধাকেজি ডাটা কিনেছিলাম ৯০ টাকা দিয়ে। আজ ৮০ টাকা দিয়ে এক কেজি ডাটা কিনেছি। সামনে আর পাওয়া যাবে কি না জানি না।’

তিনি বলেন, করোনা আতঙ্কের কারণে বাসা থেকে বের হয় না। শুধু মাঝে মধ্যে বাজার করতে আসি। গত সপ্তাহে একদিন এসেছিলাম, আর আজ এলাম। ৮-১০ দিনের মধ্যে বাজারে আসার আর ইচ্ছা নেই।

এদিকে সজনের ডাটার দাম কমলেও বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। করলা ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা, শসা ২০-৩০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, পাকা টমেটো ২০-৪০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, গাজর ২০-৩০ টাকা, বেগুন ২০-৪০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, ঝিঙে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তবে কিছুটা দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। গত সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা হয়েছে। দাম অপরিবর্তিত থাকলেও রসুন ও আদার দামেও এখন বেশি চড়া। আমদানি করা রসুন ১৭০-১৮০ টাকা এবং দেশি রসুন ৮০-১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা।

রামপুরার বাসিন্দা মামুন বলেন, ‘হঠাৎ করেই বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি ১০ টাকার মতো বেড়ে গেছে। দাম বাড়লেও বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম দেখছি না। দোকানের পাশাপাশি ভ্যানেও অনেকে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। সংশ্লিষ্টদের উচিত দ্রুত পেঁয়াজের দিকে নজর দেয়া, তা নাহলে দেখা যাবে রোজা শুরুর আগেই আবার পেঁয়াজের দাম আবার অস্বাভাবিক হয়ে যাবে। পেঁয়াজ নিয়ে তো কম কাহিনি হয়নি!’

ভ্যানে পেঁয়াজ বিক্রি করা মিলন বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম বেশি। তবে আড়তে পেঁয়াজের অভাব নেই। আগের মতোই পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। এরপরও দাম বেড়েছে। আমাদের ধারণা, রোজা কাছে আসায় দাম বেড়ে গেছে।’

এমএএস/এসআর/এমএস