করোনায় গরম ফলের বাজার
করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীতে বিভিন্ন ফলের দাম বেড়ে গেছে। বিভিন্ন খুচরা বাজারে আপেল, কমলা, আঙুরের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকা এবং আড়তে পর্যন্ত ফল না পাওয়া যাওয়ায় এমন দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন রামপুরা, খিলগাঁও এবং মালিবাগের বিভিন্ন ফল ব্যবসায়ী।
এসব অঞ্চলের বিভিন্ন ফলের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার আগে যে কমলা লেবু ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হতো, তা এখন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ করোনা আতঙ্কের পর এক লাফে কমলা লেবুর দাম কেজিতে বেড়েছে ৮০ টাকা।
কমলা লেবুর মতো দাম বেড়ে আপেলের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, যা করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার আগে ছিল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আঙুরের দাম বেড়ে হয়েছে সাড়ে তিনশ টাকা হয়েছে। ১০০ টাকার মাল্টার কেজি বিক্রিত হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা।
রামপুরার ফল ব্যবসায়ী কুদ্দুস বলেন, ‘চলতি মাসের শুরুতে কমলা লেবুর কেজি ৮০ টাকাতেও বিক্রি করেছি। দুই সপ্তাহ আগেও কমলা লেবুর কেজি ছিল ১২০ টাকার মধ্যে। এখন সেই কমলা লেবু ১৮০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। আড়তে দাম বেড়ে গেছে। এরপরও পর্যাপ্ত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আড়তে গেলে বলে ফল আসা বন্ধ।’
তিনি বলেন, ‘কমলা লেবুর মতো আপেল, আঙুর, মাল্টাসহ সব ফলের দাম বেড়েছে। বাড়তি দামে ফল কিনে আনলেও প্রায় সব খাঁচিতে (ফলের প্লাস্টিকের বাক্স) নষ্ট ফল থাকছে। বিশেষ করে আঙুরের খাঁচিতে অনেক নষ্ট ফল আসছে। যে কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে লোকসান হচ্ছে।’
মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী সবুর আলী বলেন, ‘এক খাঁচি আঙুর কিনে এনে দেখি ওপরের দুই থাক বাদে নিচের সব থাকের বেশিরভাগ নষ্ট। এ নিয়ে আড়তে অভিযোগ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখন থেকে ভালো আঙুর বেছে সাড়ে তিনশ টাকা কেজি বিক্রি করলেও অর্ধেক লোকসান হবে।’
তিনি বলেন, আগে যে আপেলের কেজি ১৫০ টাকা বিক্রি করেছি তা এখন ২২০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। ১০০ টাকার মাল্টা ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। পরিবহন বন্ধ হওয়ার পর ফলের এমন দাম বেড়ে গেছে। এরপরও আড়তে গিয়ে ভালো ফল পাওয়া যায় না। আড়ত থেকে বলা হয়, ফল আসা বন্ধ রয়েছে। তাই যে ফল আছে, সেই ফলে নিলে নেন, না নিলে যান।
তিনি আরও বলেন, আগে ফলে বেছে নেয়ার সুযোগ পেতাম। এখন তাও পাই না। এ পরিস্থিতি চললে সামনে ফল বিক্রি বন্ধ করে দিতে হবে।
এমএএস/এসআর/পিআর