নিরাপদ অবস্থানে ব্যাংক, সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আর্থিক খাত
বড় ধরনের দরপতনের কবলে পড়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশ কমে গেছে। অবমূল্যায়িত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভালো অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার।
এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার নিরাপদ অবস্থায় রয়েছে। অন্য দিকে আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি মূল্যায়নের অন্যতম হাতিয়ার মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও)। যে প্রতিষ্ঠানের পিই যত কম, ওই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ঝুঁকি তত কম। সাধারণত যেসব প্রতিষ্ঠানের পিই ১০-১৫ এর মধ্যে থাকে সেই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ অনেকটাই ঝুঁকি মুক্ত।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে বড় ধরনের দরপতনের কারণে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে।
সার্বিক বাজারের পিই রেশিও ১২-এর ওপরে থাকলেও ব্যাংক খাতের পিই অবস্থান করছে মাত্র ৬ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে। ব্যাংকের পাশাপাশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে আরও ৫টি খাত। এর মধ্যে রয়েছে- বীমা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ এবং সেবা ও আবাসন।
অন্য দিকে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে আর্থিক খাত। এ খাতের পিই ৫১ দশমিক ২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর্থিক খাতের পাশাপাশি বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে- কাগজ ও মুদ্রণ, সিমেন্ট, ভ্রমণ এবং পাট খাত। এ চারটি খাতের পিই রেশিও ৩০ পয়েন্টের ওপরে রয়েছে।
নিরাপদ অবস্থানে থাকা খাতগুলোর মধ্যে টেলিযোগাযোগ খাতের পিই ১০ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ১০ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসনের ১৩ দশমিক ২৪ পয়েন্টে এবং বীমার ১২ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
পিই ১৫- এর ওপরে থাকা খাতগুলোর মধ্যে ওষুধ ও রসায়নের ১৬ দশমিক ২২ পয়েন্টে, প্রকৌশলের ১৭ দশমিক ২৫ পয়েন্টে, বস্ত্রের ১৭ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে, খাদ্যের ১৮ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে, তথ্য প্রযুক্তির ২০ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে, চামড়ার ২১ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে, বিবিধের ২৪ দশমকি শূন্য ২ পয়েন্টে এবং সিরামিকের ২৪ দশমিক ২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আর পিই সব থেকে বেশি থাকা খাতগুলোর মধ্যে- ভ্রমণ ও অবকাশের ৩১ দশমিক ৭২ পয়েন্টে, পাটের ৩৬ দশমিক ৭১ পয়েন্টে, সিমেন্টে ৩৭ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে এবং কাগজের ৪৮ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এমএএস/জেএইচ/এমকেএইচ