করোনাভাইরাসে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে
চীনের করোনাভাইরাসে গ্রাস করেছে প্রায় অর্ধেক পৃথিবী। মারণব্যাধি এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে ১৮৬৮ জনের প্রাণ। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৭২ হাজার ৩৫৫ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এ ভাইরাস বিশ্বের বাকি দেশগুলোর জন্য ভয়াবহ হুমকি।
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের মহামারি বিশ্বের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করতে পারে। ফান্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্তালিনা জরজিভা জানিয়েছেন, ‘আমরা আশা করছি, কিছু শতাংশ লোকসান হবে, তারপরও আশা করছি ০.১ থেকে ০.২ শতাংশ পাব।’
দুবাইতে গ্লোবাল উইমেন ফোরামে তিনি এও জানান, ‘করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ঠিক কতটা প্রভাব পড়েছে তা নির্ভর করবে পরিস্থিতি কতো তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে। আমি সকলকে বলতে চাই যে, সবদিক বিচার না করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক নয়। এখনও পরিস্থিতি সবটা হাতের মুঠোয় নয়। নজর রাখা হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে, ১০ দিন পরে আমাকে আবার এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবেন।’
এখনও পুরোপুরিভাবে এ বিষয়ে কথা বলার সময় না আসলেও পর্যটন এবং পরিবহন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এখনও এ ভাইরাসের প্রকৃতি বোঝা যায়নি, চীন কতটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে এ পরিস্থিতি তা নিয়েও বেশ কিছুটা সন্দেহ থাকছে। চীন থেকে বাকি দেশগুলো কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নিয়েও এখনও সম্পূর্ণ ছবি দেয়া কিছুটা অসম্ভব।’
তবে ২০০২ সালে অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম চীনকে যে পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল- সে অবস্থা থেকে বর্তমানে চীন ভালো পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানানো হচ্ছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে এবার তলানিতে পৌঁছেছে চীনের অর্থনীতি। বলা হচ্ছে, ৩০ বছরের ইতিহাসে সবথেকে তলানিতে দেশটির অর্থনীতি। যা শুধু চীন নয়, বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা হতে পারে।
গত চার বছরের মধ্যে চীনের সংস্থাগুলোতে হঠাৎ করেই কমে গিয়েছে লাভের পরিমাণ। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে বাইরের বিভিন্ন সংস্থাও চীনে থাকা অফিসগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে। চীনের শেয়ারবাজারেও বড় ধরনের পতন লক্ষ্য করা গেছে। বলা হচ্ছে, গত একমাসে শুধুমাত্র করোনাভাইরাসের জন্য ৪২০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
আরএস/জেআইএম