ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন : আরও দুই বছর সময় পেল মার্চেন্ট ব্যাংক
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থেকে অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে আরও দুই বছর সময় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) আবেদনের প্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে সপ্তম বারের মতো মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রভিশন সংরক্ষণের সময় বাড়ানো হলো।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিএসইসির চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭১৫তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মার্চেন্ট ব্যাংকের নিজস্ব ও গ্রাহকের পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের এ সুযোগ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। নতুন সময় বাড়ানোয় এ সময়সীমা নির্ধারিত হলো ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন রাখার সুযোগ প্রথমে দেয়া হয় ২০১৩ সালে। সে সময় বিএসইসি থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো এখন পুনঃমূল্যায়নজনিত ক্ষতির ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী ১০০ ভাগের পরিবর্তে ২০ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে পারবে। তবে তা ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমান পাঁচটি ত্রৈমাসিক অংশে রাখতে হবে। এ সুযোগ পরে আরও কয়েক ধাপে বাড়ানো হয়।
সর্বপ্রথম এ সুযোগ বাড়ানো হয় ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের জন্য। এরপর বাজার পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে বাজার পরিস্থিতি আরও মন্দাভাব থাকায় মার্চেন্ট ব্যাংকারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত বাড়ায় বিএসইসি। এরপর ২০১৭ সালে বাজার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। তবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো দাবি করে, যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণে আরও সময় প্রয়োজন। এ জন্য প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করা হয়।
বিএসইসি সেই দাবি মেনে নিয়ে এক বছর সময় বাড়ায়। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগেই আরেক দফা বাড়িয়ে প্রভিশন সংরক্ষণের সুযোগ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এরপর আরও একদফা বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। বুধবার এ সুবিধা আরও দুই বছর বাড়ানো হলো।
এমএএস/এএইচ/এমএস