ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

গ্রামীণফোনে প্রথম বাংলাদেশি সিইও ইয়াসির আজমান

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২০

মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হয়েছেন ইয়াসির আজমান। তিনি এই পদে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ইয়াসির আজমানকে ১ ফেব্রয়ারি থেকে সিইও পদে নিয়োগ দিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সিইও হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে ২০১৫ সালের জুন থেকে গ্রামীণফোনের সিএমও এবং ২০১৭ সালের মে থেকে ডেপুটি সিইও ও সিএমও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আজমান। এর আগে আজমান টেলিনর গ্রুপের বিতরণ ও ই-বিজনেস বিভাগের প্রধান এবং টেলিনরের হয়ে বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

আজমান গ্রামীণফোনের বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলির স্থলাভিষিক্ত হবেন। আফ্রিকায় নিজের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাইকেল ফোলিও। তিনি ২০১৭ সালের মে থেকে গ্রামীণফোনের সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে টেলিনর পাকিস্তান ও বুলগেরিয়ার সিইওর দায়িত্ব পালন করেছেন।

গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পেটার বি ফারবার্গ বলেন, ‘ইয়াসির আজমান গ্রামীণফোন এবং টেলিনর গ্রুপের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেই আজকের অবস্থানে এসেছেন। আজমান আমাদের বাংলাদেশি অপারেশনের নেতৃত্ব দিতে রাজি হওয়ায় আমি আমি অনেক আনন্দিত। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গ্রামীণফোনের সিইও হচ্ছেন। এটি টেলিনর এবং গ্রামীণফোনের সকলের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও হিসেবে আজমান টেলিনর গ্রুপের সব থেকে বাণিজ্যিকভাবে সফল অপারেশন পরিচালনা করে আসছেন। আমি বিশ্বাস করি, আজমান সিইও হিসেবেও তার নতুন চ্যালেঞ্জে একইভাবে সফল হবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাইকেলের নেতৃত্বে গ্রামীণফোন মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি করেছে এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সম্পন্ন করেছে। আমি টেলিনর ও গ্রামীণফোনের জন্য তার বিশেষ অবদানকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’

ইয়াসির আজমান বলেন, ‘গ্রামীণফোনের সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ, সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং আমাদের গ্রাহকদের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ তার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরুপে বিকশিত করতে আমাদের এই সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য অত্যন্ত কার্যকরী। আমি আমাদের ৭ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহকের আস্থাকে সম্মান জানাই। সেই সঙ্গে আমাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আর সেবার মাধ্যমে তাদেরকে আরও উন্নত সেবা দিয়ে যেতে চাই।’

এমএসএইচ/এমকেএইচ