ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

বাংলাদেশের তৈরি দু’টি জাহাজ ভারতে যাচ্ছে

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:০৪ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০২০

ভারতের জিন্দাল স্টিল ওয়ার্কস বাংলাদেশের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের কাছ থেকে দু’টি জাহাজ ক্রয় করেছে। জে এস ডব্লিউ ‘সিংহগড়’ ও ‘লোহগড়’ নামে দু’টি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এখন কলকাতা বন্দরে নেয়া হচ্ছে। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের জিন্দাল স্টিল ওয়ার্কসের কাছে জাহাজ দু’টি হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু বলেন, পোশাক শিল্পের পাশাপাশি জাহাজ নির্মাণ শিল্পেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সবদিক থেকেই গুছিয়ে এসেছে। হঠাৎ করে বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পোন্নয়ন সকলের কাছে দৃশ্যমান হচ্ছে। তাই বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে একটা বিস্ময়।

টিপু মুনশি বলেন, এক সময় বাংলাদেশকে বলা হয়েছিল ‘বটমলেস বাস্কেট’। আরও বলা হয়েছিল- বাংলাদেশ টিকবে না। আজ বাংলাদেশ সারাবিশ্বের বিস্ময়। আমাদের টার্গেট ডাবল ডিজিট গ্রোথ। আগামী বছর বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী, একই বছর আমাদের বাণিজ্যিক লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা আশা করছি, এ লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে আমাদের উন্নয়ন গতিশীল করতে পারব।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৫ সালে ভারতের জিন্দাল স্টিল ওয়ার্কস ২শ’ কোটি টাকায় ৪টি জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে ‘জেএসডব্লিউ রাইগাড়’ ও ‘জেএসডব্লিউ প্রতাপগড়’ নামে দু’টি হস্তান্তর করা হয়। প্রতিটি জাহাজের বিক্রয় মূল্য ৫০ কোটি টাকা। ৪টি জাহাজের মোট মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

জেএসডব্লিউ সিংহগড় ও লোহগড় নামের জাহাজ দু’টি ৮ হাজার ডিডব্লিউটি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন কার্গো জাহাজ। জাহাজগুলো ১ হাজার ৩৩০ কিলোওয়াট ও ৯০০ আরপিএম-এর দুটি ইয়ানমার মেরিন ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। জাহাজগুলো শতভাগ লাডো অবস্থায় সর্বোচ্চ ১০ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম।

অনুষ্ঠানে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, রিয়ার অ্যাডমিরাল আবু আশরাফ, ব্যাংক এশিয়ার ডিএমডি এসএম ইকবাল ও ওয়েস্টার্ন মেরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। -বাসস

আরএস/এমএস