বস্ত্র মেলা শুরু বৃহস্পতিবার, সম্মাননা পাচ্ছে ৯ সংগঠন
‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী বস্ত্র মেলা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি)। একই সঙ্গে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন ও রফতানি বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯টি সংগঠনকে সম্মাননা দেয়া হবে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে জাতীয় বস্ত্র দিবস ও বহুমুখী বস্ত্র মেলা উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এসব তথ্য জানান।
গত ৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’ পালিত হয়, তবে দিবসের মূল অনুষ্ঠান হবে ৯ জানুয়ারি। সচিব বলেন, ‘আগামী ৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান এবং ৯ থেকে ১১ জানুয়ারি তিন দিনব্যাপী বহুমুখী বস্ত্র মেলা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণ গণনার কাউন্টডাউন শুরু উপলক্ষে মেলা বন্ধ থাকবে, ওইদিন বাণিজ্য মেলাও বন্ধ থাকবে। তাই মেলা হবে দু’দিন।’
সচিব আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিবসের মূল অনুষ্ঠান উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এ অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন ও রফতানি বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯টি অ্যাসোসিয়েশন বা প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হবে।’
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তৈরি পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে জানিয়ে বস্ত্র ও পাট সচিব বলেন, ‘দেশের রফতানি আয়ের ৮৪ দশমিক ২০ শতাংশ অর্জিত হয় এ খাতে থেকে। দেশের মোট জিডিপির প্রায় ১২ শতাংশ আসে বস্ত্রখাত থেকে। তৈরি পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণ বাংলাদেশের সমাজ জীবনে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধন করেছে। বর্তমানে বস্ত্রখাতে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমজীবী কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ শ্রমজীবী নারী এবং এসব কর্মকাণ্ড নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ২০২০-২১ সালে পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৫০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার বস্ত্রখাতের সাথে সম্পৃক্ত সকল অংশীজনের সাথে সমন্বয় সাধন করে বস্ত্র শিল্পকে স্থিতিশীল রাখার কার্যক্রম গ্রহণ ও দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পে উন্নতমানের সবুজ কারখানা (গ্রিন ফ্যাক্টরি) নির্মাণে বিশ্বের প্রথম ১০টি উন্নতমানের কারখানার ৭টিরই অবস্থান বাংলাদেশে।’
বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) বন্ধ হওয়া মিলগুলোর মধ্যে ১৬টি মিল পিপিপির মাধ্যমে চালু করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুটি মিল পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে চালু করা হয়েছে। বিটিএমসির বাকি মিলগুলো চালু করার জন্য দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনার মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সম্মাননা পাচ্ছে যেসব সংগঠন
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ারলুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিলেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ), বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদ (এনসিসিবি)।
আরএমএম/আরএস/জেআইএম