বাড়ল ডিএসইর মূল্য আয় অনুপাত
পতনের ধারা কাটিয়ে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের প্রতি দিবসই মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ফলে গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কিছুটা বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে প্রায় এক শতাংশ। সূচকের এই উত্থানের মধ্যে বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৬৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দাম বাড়ার ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১১ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে, যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে দাঁড়য়েছে ১১ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত বেড়েছে দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩২ শতাংশ।
খাতভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বরাবরের মতো সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ দশমিক ৪০ পয়েন্টে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেবা ও আবাসন খাতের পিই ৯ দশমিক ১১ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর পরের স্থানেই রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের পিই ৯ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১০ পয়েন্টে রয়েছে।
এছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের পিই ১১ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৩ দশমিক ৯২ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৬ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট, খাদ্য খাতের ১৩ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৫ দশমিক ১২ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের ১৫ দশমিক ৪২ পয়েন্ট এবং তথ্য প্রযুক্তির ১৯ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট অবস্থান করছে।
বাকি খাতগুলোর পিই রেশিও ২০ পয়েন্টের ওপর। এর মধ্যে- পেপার খাতের ২০ দশমিক ২১ পয়েন্ট, বিবিধ খাতের ২১ দশমকি ৮৪ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৬ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৫ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১৪৮ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট এবং পাট খাতের ৩৮১ দশমিক ৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এমএএস/বিএ/এমকেএইচ