ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে জিম্মি ভৈরবের পাদুকাশিল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫৫ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ছোট ছোট কয়েক হাজার পাদুকা তৈরির কারখানা রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হচ্ছে সারাদেশে। কিন্তু সরবরাহ ব্যবস্থার অভাবে পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না উৎপাদনকারীরা। তারা মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে জিম্মি। অল্প দামে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে উৎপাদক এবং সাধারণ ভোক্তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি সম্ভাবনাময় এই শিল্পটির বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের (ডিএসসিই) এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ভৈরবের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় আট হাজার কারখানা রয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভৈরবের কমলপুরে বিভিন্ন পাদুকা কারখানা পরিদর্শন করেন।

শিক্ষার্থীদের জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপরিকল্পিতভাবে ছোট ছোট কারখানাগুলো গড়ে উঠেছে। তাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব রয়েছে। ফলে নারী শ্রমিকরা এখনও স্বল্প পারিশ্রমিকে কাজ করছেন। এতে গুণগতমানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন হচ্ছে না। আবার যেসব পণ্য উৎপাদন হচ্ছে উৎপাদকরা স্থানীয় মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

ভৈরবে কারখানার মালিকরা প্রতি ডজন (১২ জোড়া) জুতা বিক্রি করছেন এক হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। অথচ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে ওই জুতা বিক্রি হচ্ছে প্রতি জোড়া ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। পণ্যমূল্যের বেশিরভাগই ঢুকছে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।

জরিপে আরও বলা হয়েছে, কারখানার উদ্যোক্তা ও কর্মীরা স্বাস্থ্য-পরিবেশ বিষয়ে সচেতন নয়। চামড়া, প্লাস্টিক ও ফোমের আবর্জনার মধ্যে কোনো প্রতিরোধক ছাড়াই কাজ করছেন শ্রমিকরা। এসব কারখানা বর্জ্যও ফেলে রাখা হয়েছে খোলা আকাশের নিচে। এতে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

জরিপের বিষয়ে উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন, অপরিকল্পিতভাবে পাদুকাশিল্প গড়ে উঠেছে। দীর্ঘদিনের এ শিল্প এখনও অতিক্ষুদ্র পর্যায়ে রয়েছে। এখানকার উদ্যোক্তাদের কারিগরি জ্ঞান ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। এতে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুবিধা পাচ্ছেন। সরকারের উচিত এই ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্পকে পরিকল্পনামাফিক গড়ে তোলা। এতে স্থানীয় পর্যায়ের শিল্পের বিকাশ হবে, মানুষের কর্মসংস্থান হবে, দারিদ্র্যদূরীকরণ সহজ হবে।

এসআই/বিএ/এমএস