ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

জাপানের বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতার আশ্বাস

প্রকাশিত: ১০:৩৯ এএম, ০১ অক্টোবর ২০১৫

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে জাপানের বিনিয়োগকারিদের সবধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত জাপানের পার্লামেন্টারি ভাইস-মিনিস্টার অফ ইকোনমি, ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইয়োশিহিরো সেবি -এর নেতৃত্বে একটি ২৭ সদস্য বিশিষ্ট বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

তোফায়েল আহমেদ বলেন , গত পাঁচ বছরে জাপানে বাংলাদেশের রফতানি দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে বাংলাদেশ জাপানে রফতানি করেছে ৩৩০ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১ হাজার ৪৭ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশকে অস্ত্র এবং হ্যান্ডসগ্লোব ছাড়া সকল পণ্য শুল্কমুক্ত রফতানির সুযোগ দিয়েছে। গত এপ্রিল মাস থেকে ওভেন এবং নিটওয়্যার পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করেছে। এর ফলে জাপানে বাংলাদেশের পণ্যের রফতানি আরো বৃদ্ধি পাবে। আশা করা যায় আগামী কিছু দিনের মধ্যে বাংলাদেশের রফতানি ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে জাপানের ২৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ রয়েছে। বর্তমানে জাপানের প্রায় ২৩০টি প্রতিষ্ঠান সারাদেশে কাজ করছে। জাপানকে বাংলাদেশের গাজীপুর অথবা নারায়ণগঞ্জে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য জমি বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত। বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ জাপানকে প্রয়োজনীয় সবধরনের আন্তরিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
 
সফররত জাপানের পার্লামেন্টারি ভাইস-মিনিস্টার অফ ইকোনমি, ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইয়োশিহিরো সেবি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ জাপানের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশে জাপানের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। জাপানের অনেক ব্যবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। জাপান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। চলমান সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করতে জাপান সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

প্রতিনিধি দলে ঢাকাস্থ জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াটানাবে, জাইকা, কামিগুমি কোং লি, কানবি পিটি লি. হান্দো মটর কোং লি, মারুবিনি করপোরেশন, সুমিতোমো মিটসুই করপোরেশন,  মিটসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লি, রি-টিম করপোরেশন ও জেটরো এর প্রতিনিধিগণ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত আলী ওয়ারেছি, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) জহির উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মনোজ কুমার রায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এসএ/এসকেডি/পিআর