রাজধানীজুড়ে জমজমাট মৌসুমী ব্যবসা
কুরবানির মৌসুমে রাজধানীতে বিভিন্ন কুরবানি উপকরণসহ নানা জিনিসের ব্যবসা এখন জমজমাট। অন্য কোনো সময় রাজধানীতে যা অচল তাই এখন চলছে দেদারসে।
রাজধানীর মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ পশু খাদ্যের দোকান। কেউ খড়, কেউ ভুসি, কেউ কাঁঠালের পাতা, কেউবা আবার ঘাস নিয়ে সাজিয়েছেন পসরা। রাস্তার ধারে, টেবিলে অথবা কোনো ভবনের বারান্দায় গড়ে উঠেছে খণ্ডকালীন এসব দোকান।
তবে এরা সবাই মৌসুমী ব্যবসায়ী। কুরবানি ঈদ এলেই একটুখানি লাভের আশায় এক সপ্তাহের জন্য অনেকেই বনে যান পশু খাদ্য ব্যবসায়ী।
রাজধানীর আদাবর শেখেরটেক ৪ নম্বর রোডের এক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে সবজির দোকান করতো ওই রাস্তার মাথায়। এখন তিনি দোকান দিয়েছেন পশু খাদ্যের। তার দোকানের এখন প্রধান পণ্য ঘাস ও খড়। বৃহস্পতিবার সকালে এমনই চিত্র দেখা গেছে সেখানে।
এছাড়াও শ্যামলী, আগারগাঁও, মহাখালী, গুলশান-১, বাড্ডা লিঙ্ক রোডেও দেখা মিলেছে এ রকম অসংখ্য দোকানের।
একই চিত্র পাওয়া গেল মধ্যবাড্ডার হুসেইন মার্কেটের বারান্দায়। জামাল নামে এক ব্যবসায়ী এক সপ্তাহের জন্য খড় ও ভুসির দোকানদার বনে গেছেন। এর আগে তিনি অন্য ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি জানান, প্রতিবার ঈদের সময় কয়েকদিনের জন্য এই ব্যবসা করেন। কয়েকদিনের এই ব্যবসায় নাকি বেশ লাভ।
জাগো নিউজকে জামাল বললেন, এক আটি খড় বিক্রি করছি ১৫ টাকা। আর এক কেজি ভুসি ৩৫ টাকায়। ঈদের সময় এগুলোর অনেক চাহিদা। কেউ বেশি দরদাম করেনা। এক দামেই সবাই কিনে নেয়।
বারান্দার আরেক পাশে কাঠের গুড়ির দোকান নিয়ে বসেছে মামুন নামে এক কিশোর। তবে সে জানালো, এবার বিক্রি খুব কম। সর্বনিম্ন ১৬০ টাকা থেকে সাড়ে চারশো টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে একেকটি কাঠের গুড়ি।
মামুন জানায়, নতুন বাজার এলাকায় তাদের একটি ফার্নিচারের দোকান আছে। প্রতিবার ঈদের সময় তারা এসব কাঠের গুড়ি বিক্রি করে। তাদের দোকান শুধু হোসেন মার্কেটেই না, আরো কয়েক স্থানেও এই দোকান আছে।
জামালের দোকানে ভুসি কিনতে আসা জহির নামে এক ব্যক্তি জানান, গরু কিনেছি চারদিন আগে। আর এই কয়েকদিনে প্রায় ২ হাজার টাকার খাবার কিনতে হলো গরুর জন্য। তবে ভাগ্য ভালো যেখানে সেখানে পাওয়া যাচ্ছে গরুর খাবার।
এমএএস/এসএইচএস/পিআর