ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

সাকিবের সার্ভিস এক বছর পাব না, এটা দুঃখজনক : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৫৬ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৯

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আইসিসির আইনটি সাকিবের ভালোভাবে জানা ছিল। তারপরও কেন ও এমন করল। সরল ভেবে সাকিব কাজটি করেছে। সাকিবের সার্ভিস এক বছর পাব না, এটা দুঃখজনক।’

বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত ১৯তম অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তারপরও আমি মনে করি সাকিব ভালো কাজটি করেছে। সে তার সততার পরিচয় দিয়েছে। সে সত্যি বলেছে। সে আরও একটি কাজ করতে পারতো, সে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে বা প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি বলতে পারতো। যদিও আইসিসিকে এ বিষয়ে অনুরোধ করলে কতটা লাভ হতো জানি না।’

তিনি বলেন, ‘আইসিসি এসব বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর। ডিসিপ্লিন কোনোভাবে ব্রেক হোক এটা তারা চায় না। বিশেষ করে ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং আইসিসি পছন্দ করে না, করবেও না। এই খেলা মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু এখানে আইসিসি কাউকে ছাড় দেয় না, ছাড় দেয়ার উদাহরণ নেই।’

মুস্তফা কামাল বলেন, আইসিসির আইনটি সাকিবের ভালোভাবে জানা ছিল, তারপরও কেন ও এমন করল। সাকিব হয়তো এটা সরলতার কারণে করেছে। কেন করেছে আমি জানি না। আইনটি কিন্তু তার জানা। আমাদের টিম যখন বাইরে যায় তখন আমরা একটি ওরিয়েন্টেশন কোর্স করি। এতে প্রত্যেকটি খেলায়াড় কী করবে না করবে সব বলে দেয়া হয়। সুতরাং এটা দুর্ভাগ্যবশত।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাকিবের সার্ভিসটা এক বছর পাবো না। আমাদের দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ওর একটা রিপ্লেসমেন্ট সম্ভব নয়।’

এ শাস্তিটা কি কমানোর সুযোগ রয়েছে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ক্ষেত্রে আইসিসি এ ধরনের শাস্তি কমায়নি। ওরা তো বলে দিয়েছে, যদি সাকিব আইসিসিকে ভালোভাবে সহযোগিতা করে তাহলে এক বছর পর থেকে খেলতে পারবে।’

উল্লেখ্য, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর তা গোপন করায় সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি, যার মধ্যে এক বছরের শাস্তি দোষ স্বীকার করায় স্থগিত থাকবে।

গত মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাকিবের এই শাস্তির ঘোষণা দেয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। অপরাধ এবং শাস্তি দুটোই মেনে নেয়ায় শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকছে না সাকিবের। এই শাস্তির ফলে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেটে মাঠে নামতে পারবেন না বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। তার মানে, আগামী বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না সাকিব।

এমইউএইচ/এমএসএইচ/এমএস