শেষ দিনে ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভিড়
একদিন পর পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। ঈদের আগে শেষ কার্যদিবস আজ (বুধবার)। তাই ঈদের সামনে টাকা তোলা ও জমা দেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে গ্রহকরা। ব্যস্ত সময় পার করছে ব্যাংকাররাও। বুধবার রাজধানীতে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রয়োজনীয় লেনদেনের পাশাপাশি নতুন টাকার জন্যও ভিড় করতে দেখা গেছে গ্রাহকদের। মতিঝিল ও দিলকুশা এলাকার ব্যাংকের শাখাগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে টাকা তুলতে ব্যাংকের কাউন্টারে সামনে লম্বা লাইন।
সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার ফনীন্দ্র ত্রিবেদী জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিবারের তুলনায় এবারও ঈদ উপলক্ষে লেনদেন বেড়ে গেছে। ঈদের আগে বুধবার শেষ কার্যদিবস হওয়ায় গ্রাহক নগদ টাকা তুলে রাখছেন। এর ফলে ব্যাংক থেকে প্রচুর টাকা উত্তোলন হয়েছে। তাই লেনদেন হয়েছে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় তিন থেকে চারগুণ বেশি।
তিনি আরো বলেন, গত ঈদের মত এবারও গ্রাহকদের সুবিধার্থে তিনটি অতিরিক্ত ক্যাশ কাউন্টার খোলা হয়েছে। তারপরও গ্রাহকদের সামলাতে কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বড় অংকের লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে নিষ্পত্তি করছি। তবে টাকার সমস্যা নেই। গ্রাহকের চাহিদা মত পরিশোধ করা হচ্ছে।
সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় টাকা তুলতে আসা বেসরকারি চাকুরিজীবী শামীম আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, বিকেলে গ্রামের বাড়ি যাবো। আজ (বুধবার) ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাই প্রয়োজনীয় টাকা তুলতে এসেছি। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। যে লম্বা লাইন, মনে হচ্ছে আর বেশকিছু সময় দাঁড়াতে হবে।
দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংকের এক শাখা কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকেই গ্রাহকের দীর্ঘ লাইন। দম ফেলারও কোনো সময় নেই। টাকা জমা দেওয়ার চেয়ে উত্তোলনের পরিমাণ বেশি। গত কয়েক বছরের মতো এবারও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে যথেষ্ট পরিমাণ তারল্য রয়েছে। তাই নগদ অর্থ লেনদেনে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
এদিকে টাকা লেনদেনের সঙ্গে নতুন টাকা সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ভিড় করতে দেখা গেছে অনেক গ্রাহককে। তবে এবারও পর্যাপ্ত পরিমাণ নতুন টাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসআই/এসএইচএস/পিআর