বাড়ল ডিএসইর মূল্য আয় অনুপাত
গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ফলে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের তিন কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে উত্থান হওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্সসহ বাকি দুটি সূচকেরও বড় উত্থান হয়েছে। সূচকের এ উত্থানের মধ্যে বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাতও বেড়েছে।
গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৩ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ১৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত বেড়েছে দশমিক ৩২ পয়েনট বা ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
খাত ভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বরাবরের মতো সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৭ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে। অর্থাৎ উত্থানের মধ্যেও ব্যাংক খাতের পিই কিছুটা কমেছে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা বীমা খাতের পিই ১৫ দশমিক ১৬ পয়েন্ট থেকে কমে ১৩ দশমিক ৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর পরের স্থানে থাকা টেলিযোগাযোগ খাতের পিই রিশিও ১২ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে থেকে বেড়ে ১৩ দশমিক ৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পিই ১২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রকৌশল খাতের ১৩ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৪ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৩ দশমিক ৭০ পয়েন্ট থেকে কমে ১৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে এবং সেবা ও আবাসন খাতের পিই ১৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৫ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
২০-এর নিচে পিই থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে খাদ্যখাতের ১৬ দশমিক ১৭ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৬ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৭ দশমিক ৩১ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পিই আগের সপ্তাহের মতো ১৭ দশমিক ৬৯ পয়েন্টেই অবস্থান করছে। আর্থিক খাতের ১৭ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৮ দশমিক ২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বাকি খাতগুলোর পিই রেশিও ২০ পয়েন্টের ওপরে। এর মধ্যে- সিরামিক খাতের ১৮ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ২০ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২০ দশমিক ১৫ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ২০ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ২৪ দশমিক ২৬ পয়েন্ট থেকে কমে ২০ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৩ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ২৩ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩০ দশমিক ২২ পয়েন্ট থেকে কমে ২৬ দশমিক ২৪ পয়েন্টে, পেপার খাতের ২৯ দশমিক ৩১ পয়েন্ট থেকে কমে ২৮ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্টে এবং পাট খাতের ৪২৪ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৪৪২ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এমএএস/আরএস/এমএস