আবারও ‘যোগ্য’ এমডির সন্ধানে ডিএসই
প্রথম ধাপের আবেদনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদের জন্য যোগ্য কাউকে না পেয়ে আবারও ‘যোগ্য’ এমডির সন্ধানে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ডিএসইর এমডির শূন্য পদ পূরণের জন্য গত মাসে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পদটির জন্য ১৬টি আবেদন পড়ে। তবে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে কাউকে যোগ্য মনে করেনি ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ও নমিনেশন অ্যান্ড রিমিউনারেশন কমিটি (এনআরসি)।
এর প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফায় আবারও যোগ্য এমডির সন্ধানে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পদটিতে আবেদনের জন্য যোগ্যতা হিসেবে বিজনেস, ইকোনোমিকস, স্ট্যাটিসটিকস, ম্যাথমেটিকস অথবা আইনে ব্যাচেলর ডিগ্রিসহ কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে।
আর প্রফেশনাল ডিগ্রি সিএফএ, সিএ, সিএমএ, সিএস, সিপিএ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও ১০ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে। তবে ক্যাপিটাল মার্কেটের ওপরে আন্তর্জাতিক দক্ষতা সম্পন্ন প্রার্থীর ক্ষেত্রে অন্যান্য শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
যোগ্য এমডির খোঁজে গত ৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দফায় দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী প্রার্থীদের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদনের সময় ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে হবে।
ডিএসইর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১১ জুলাই ডিএসইর এমডি পদ শূন্য হয়। এ শূন্য পদ পূরণে নতুন এমডির খোঁজে ৭ আগস্ট বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তাতে ১ সেপ্টেম্বর মধ্যে আগ্রহীদের আবেদন করতে বলা হয়।
ডিএসই নতুন এমডির জন্য বিজ্ঞাপন দেয়ার পর পদটির জন্য ১৬ জন আবেদন করেন। ২ সেপ্টেম্বর পরিচালনা পর্ষদ সভার মাধ্যমে আবেদন উন্মুক্ত করা হয়। তবে যারা এমডি হতে আবেদন করেন তাদের কাউকে যোগ্য মনে করিনি ডিএসইর পর্ষদ। এরপর আবেদনগুলো নমিনেশন অ্যান্ড রিমিউনারেশন কমিটিতে পাঠানো হয়। ওই কমিটিও ডিএসইর এমডি হিসেবে কাউকে যোগ্য মনে করেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকীকরণে ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিমের পর দ্বিতীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ২০১৬ সালের ২৯ জুন নিয়োগ পান কে এ এম মাজেদুর রহমান। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১১ জুলাই। তারপর থেকেই পদটি খালি রয়েছে।
ডিএসইতে এমডি পদে যোগ দেয়ার পর বিদেশ ভ্রমণ, কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা বিতর্কের জন্ম দেন মাজেদুর রহমান। এরপরও ডিএসইর পর্ষদ থেকে মাজেদুর রহমানকে এমডি পদে পুনরাই নিয়োগ চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করা হয়। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিএসইর ওই প্রস্তাব বাতিল করে দেয়। এর প্রেক্ষিতেই নতুন এমডি খোঁজা শুরু করে ডিএসই।
ডিএসইর পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও এমডি পদ শূন্য রয়েছে। ফলে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিয়েই চলছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম। ডিএসইর প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) আবদুল মতিন পাটোয়ারী বর্তমানে স্টক এক্সচেঞ্জটির ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অপরদিকে সিএসইর এমডি হিসেবে এম সাইফুর রহমান মজুমদার ২০১৬ সালের ১৯ মে নিয়োগ পান। তিনি স্টক এক্সচেঞ্জটির ডি-মিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী তৃতীয় এমডি। তার আগে সিএসইর এমডি ছিলেন ওয়ালি উল-মারুফ মতিন। তিন বছরের দায়িত্ব পালনের পর এ বছরের ৩১ মে এম সাইফুর রহমান মজুমদারের মেয়াদ শেষ হয়।
সিএসইর পর্ষদ তাকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য সুপারিশ করেনি। এর পরিবর্তে এক্সচেঞ্জটি এ পর্যন্ত দুই দফা এমডি নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। কিন্তু যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। বর্তমানে এক্সচেঞ্জটির মহাব্যবস্থাপক মো. গোলাম ফারুককে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক করে সিএসইর কার্যক্রম চলছে।
এমএএস/আরএস/জেআইএম