ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

নদীর এপারে ট্রেন ওপারে চলবে গাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জার্মানির বন শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাইন নদীর মতো বাংলাদেশের নদীগুলোর পাড় বেঁধে দিয়ে একপাশে ট্রেন এবং অন্যপাশে গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়নে জাপান আসতে চায়। ফলে বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনা করা হবে। নদীগুলোকে পদ্ধতিগতভাবে কাজে লাগানো হবে। রাইন নদীর মতো পাড় বেঁধে দেয়া হবে। নদীর একপাড়ে ট্রেন অন্যপাড়ে গাড়ি চলবে। নদীর পলি কাজে লাগানো হবে।’

তিনি বলেন, ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে জোর দিয়েছে জাপান। নদীর মধ্যে যেসব সম্পদ আছে তা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে আসবে দেশটি।’

মাতারবাড়ী প্রকল্প নিয়ে জাপানের ব্যাপক আশা রয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরবর্তী ধাপে এটিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হবে। নেদারল্যান্ডসের পাশাপাশি ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে কাজ করবে জাপান। আমাদের আরও অনাবিষ্কৃত সম্ভানাময়ী খাতগুলোসহ বিশাল সমুদ্রের বিপুল সম্পদের যে সম্ভাবনা রয়েছে সে বিষয়েও তারা খুবই আগ্রহী। আমাদের যে ডেল্টা প্ল্যান, তা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি থেকে রক্ষা করবে, এই প্লানের সঙ্গে জাপান-জাইকা সম্পৃক্ত হবে।’

লবণ উন্নয়নেও এগিয়ে আসবে জাপান। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘মাতারবাড়ীতে অত্যাধুনিক লবণ উৎপাদন কারখানা স্থাপন করবে জাপান। ফলে লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে রফতানিতে অবদান রাখবে তারা।’

জাপানে জনশক্তি রফতানি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সম্প্রতি জাপান সফরে এ বিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও জাপানের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জাপানে জনবল পাঠানোর বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। জাপানিরা খুবই শান্তিপ্রিয় জাতি। তারা খুব জোরে কথা বলা পছন্দ করে না। সুতরাং এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে জাপানে লোক পাঠানো হবে। জাপানে লোক পাঠানোর জন্য ভাষা ও সংস্কৃতির বিষয়ে বেশি বেশি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।’

আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত জাইকা (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক খাতের অটোমেশন ও ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করবে জাপান। যার মাধ্যমে আমাদের এনবিআর সম্পূর্ণরূপে অটোমেটেড হবে, পাশাপাশি ব্যাংক খাত, ইন্স্যুরেন্স, পুঁজিবাজারও অটোমেশনে চলে আসবে।’

জাপান বাংলাদেশ নিয়ে বেশ আশাবাদী জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘জাপান মানে বাংলাদেশে কোনো বিষয়ে ফেল করবে না। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তার নিজস্ব গতিতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায়। বাংলাদেশের অগ্রগতির ধারা এবং আশপাশের দেশের তুলনায় বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের আকর্ষণীয় এলাকা।

এমইউএইচ/এসআর/পিআর

আরও পড়ুন