ঈদ ও বন্যায় বেড়েছে মূল্যস্ফীতি
জুনের তুলনায় জুলাইয়ে এসে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। জুনে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ৫২ ভাগ, জুলাইয়ে এসে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬২ ভাগ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে দশমিক ১ ভাগ।
২০১৮ সালের জুলাইয়ের তুলনায়ও এ বছরের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ বেশি। গত বছর জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ৫১ ভাগ।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে। এর মূল কারণ, দেশে বৃষ্টিপাত ও বন্যা হয়েছিল। ফলে অনেক সবজি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যাতায়াত কয়েকদিনের জন্য ব্যাহত হয়েছিল। আর ঈদুল আজহা উপলক্ষে মানুষ বেশি ব্যয় করেছেন। এ কারণে মূল্যস্ফীতি জুনের তুলনায় জুলাইয়ে দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে গেছে। আমরা আশা করি, আগামী মাসে এটা ম্যানেজ হয়ে যাবে।’
খাদ্যদ্রব্যের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মাছ, মাংস, ডিম, শাক-সবজি, ভোজ্য তেল, মসলা ও কোমলপানীয় দ্রব্যাদির মূল্য জুলাইয়ে বেড়েছে।
খাদ্যবহির্ভূত দ্রব্যসামগ্রীর ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, খাদ্যবহির্ভূত উপখাতগুলো পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া ও গ্যাস, চিকিৎসা সেবা , শিক্ষা উপকরণ ও বিবিধ দ্রব্যাদি ইত্যাদি উপখাতের কিছু দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য জুলাইয়ে বেড়েছে।
পিডি/জেডএ/পিআর