শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী রেখে ঈদে বিনিয়োগকারীরা
ঈদের আগে শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের উত্থান হয়েছে। এর মাধ্যমে পতনের এক কার্যদিবস পরেই ঊর্ধ্বমুখীতার দেখ পেল শেয়ারবাজার।
এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া হিংসভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ৯ আগস্ট থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত টানা ৯ দিন শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে। ১২ আগস্ট ঈদুল আজহা পালিত হবে। এ কারণে সরকারিভাবে ১১, ১২ ও ১৩ আগস্ট অর্থাৎ রোব, সোম ও মঙ্গলবার ছুটি থাকবে। এর আগের শুক্র ও শনিবার (৯ ও ১০ আগস্ট) দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি।
আর ঈদের সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর ১৪ আগস্ট (বুধবার) অফিস খোলা। তবে এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসইর পর্ষদ। পরের দিন ১৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) জাতীয় শোক দিবসের ছুটি। শোক দিবসের ছুটির পর ১৬ ও ১৭ (শুক্র ও শনিবার) দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে। টানা ৯ দিন লেনদেন বন্ধ থাকার পর আগামী ১৮ আগস্ট শেয়ারবাজারে আবার লেনদেন শুরু হবে।
ঈদের আগের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে মূল্য সূচকের বড় উত্থানের দেখা মিললেও প্রথম সাড়ে তিন ঘণ্টার চিত্র ভালো ছিল না। লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৭ পয়েন্ট কমে যায়। কিন্তু দুপুর ১টার পর ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান মূল্য সূচকের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অপর দুই মূল্য সূচকও ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা পেয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর-৩০ সূচক দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৩৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক দুই পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৯২ পয়েন্টে।
মূল্য সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬১টির দাম।
এদিকে মূল্য সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়লেও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৪১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৪৯ কোটি চার লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
এদিন বাজারে টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা পাওয়ার কোম্পানির ১৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকার লেনদেনে হয়েছে। ১০ কোটি ৪৬ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে জেএমআই সিরিঞ্জ।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- গ্রামীণফোন, ফরচুন সুজ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, মুন্নু সিরামিক, বঙ্গজ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৯৬ পয়েন্টে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৫৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির।
এমএএস/এএইচ/পিআর