ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

এলাচের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০১৯

ঈদুল আজহা সামনে রেখে বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম। কেজিতে এক হাজার টাকা বেড়ে এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে জিরা, দারুচিনি, গোলমরিচের দামও।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদে মসলার চাহিদা বেশি থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগান কিছু অসৎ ব্যবসায়ী। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে মসলার দাম বেড়েছে।

পাইকারিতে দাম বাড়ানোর প্রভাব খুচরায় পড়েছে, বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে পাইকাররা বলছেন, মসলা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে জানা গেছে, কোরবানির ঈদে বেশি চাহিদার তিনটি মসলা এলাচ, দারুচিনি ও জিরা। যার সবগুলোর দামই বেড়েছে। মাসখানেক আগে যে এলাচ প্রতি কেজি বিক্রি হতো ১,৮০০ থেকে ২,২০০ টাকা, আজ একই এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২,৬০০ থেকে তিন হাজার টাকায়। এ ছাড়া দারুচিনি কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা।

মানভেদে জিরা কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। কিশমিশ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গোলমরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। বর্তমানে কালো গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা আর সাদা গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ১,২০০ থেকে ১,৪০০ টাকা।

মানভেদে প্রতি কেজি জয়ফল ১,০০০ থেকে
১,২০০ টাকা, জয়ত্রী ২,০০০, লবঙ্গ ৮৫০, কাঠবাদাম ৮৫০, তেজপাতা ১৫০ টাকা থেকে ১৮০, পেস্তাবাদাম ২০০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মতিঝিলের মসলা বিক্রতা আরিফ জাগো নিউজকে জানান, কয়েক সপ্তাহে ধরে মসলার দাম বাড়ছে। ঈদের আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাইকাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। কেনা বেশি হওয়ায় দাম বাড়তি রাখতে হচ্ছে।

এদিকে পাইকারি বাজারের প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি জিরা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, দারুচিনি ৩০০ থেকে ৩৫০, এলাচি ১,৪০০ থেকে ১,৭০০, তেজপাতা ১৫০ থেকে ১৮০, সাদা গোলমরিচ ১,০০০, কালো গোলমরিচ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মসলার দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ানোর কারণে খুচরা বাজারে দাম বাড়াতে হচ্ছে। গত মাসে এলাচ বিক্রি করেছি ২,২০০ টাকা। এখন পাইকারি দাম ২,৩০০ থেকে ২,৪০০ টাকার ওপর। আমরা বিক্রি করব কত টাকা? দোকান ভাড়া মাল আনায় খরচ রয়েছে।

পুরান ঢাকার পাইকারি মসলা বাজারের সিজান অ্যান্ড ব্রাদার্সের বিক্রেতা জানান, মাসখানেক আগে কিছুটা দাম বেড়েছিল। তবে গত এক দুই সপ্তাহে মসলার দাম বাড়েনি, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া এবার মাসলার সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। দাম বাড়ার কোনো কারণই নেই।

মতিঝিলে মসলা কিনতে আসা সোহেল নামের এক ক্রেতা জানান, জিরা, এলাচ সব মসলার দাম বেড়েছে। প্রতি ঈদে বাড়ায়, এবারও বাড়িয়েছে। ঈদ পুঁজি করে বাড়তি মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা। এটি দেখার কেউ নেই।

এদিকে দাম নিয়ন্ত্রণে মসলার বাজারে অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ বিষয়ে অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, কোরবানির ঈদে মসলার চাহিদা বেশি থাকে। এ সুযোগে মসলা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। দাম নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি মসলার বাজারে অভিযান চালানো হচ্ছে। অযৌক্তিক দাম না বাড়াতে সতর্ক করা হয়েছে। এ সময় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবার পর্যপ্ত মজুত রয়েছে। ঈদের আগে আর দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেন তারা।

এসআই/জেডএ/পিআর

আরও পড়ুন