ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

শেয়ার কেলেঙ্কারি : প্যারাগনের ৫ আসামির জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশিত: ১২:১০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার কারসাজি মামলার পাঁচ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন শেয়ারবাজার বিষয়ক বিএসইসির স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার আসামিরা ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) হুমায়ুন কবীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন- প্যারাগণ লেদারের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ সালাম, কর্পোরেট অ্যাডভাইজার আব্দুস সালাম, অ্যাকাউন্ট অফিসার মো. জালাল উদ্দিন, শেয়ার অফিসার এসএম জুনায়েদ বাগদাদী ও কম্পিউটার অপারেটর হেমন্ত বাইন ভূঞা। এ মামলার মোট আসামি ২০ জন হলেও সোমবার ট্রাইব্যুনালে এই ৫ আসামি আত্মসমর্পণ করেন।

বিএসইসির আইনজীবী মাসুদ রানা খান বলেন, প্যারাগন লেদারের ২০ আসামির মধ্যে আজকে ৫ আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন ও সাক্ষীদের জেরা করার আবেদন করে। আদালত সবকিছু বিবেচনা করে জামিন নামঞ্জুর ও সাক্ষীদের জেরা করার আবেদন মঞ্জুর করেছে।

এদিকে সোমবার ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সাবেক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ও বিভাস সাহার এ মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য পূর্বনির্ধারিত তারিখ ছিল। তবে সাক্ষীরা উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার সার্টিফিকেট নিয়ে প্রতারণা মামলায় সাক্ষ্য দেন পূবালী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সুশীল চন্দ্র শিকদার। ১৩ আগস্ট সন্ধানী ক্রেডিট অ্যান্ড কো-অপারেটিভের ম্যানেজার মিজানুর রহমান ও চার্টার্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটির ডিএমডি সিরাজুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন। এছাড়া বাদী হিসেবে কমিশনের পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করেন প্রতিষ্ঠানটির উপ-পরিচালক এ এস এম মাহমুদুল হাসান।

প্যারাগন লেদারের শেয়ার জালিয়াতি নিয়ে কোম্পানিসহ ২০ জনকে আসামি করে ২০০১ সালে মামলা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।

আসামিরা হলেন-এমএ সালাম, আবুল কালাম আজাদ, নূর মোহাম্মদ, আব্দুস সালাম, এস এস জুনায়েদ বাগদাদী, মো. কুতুবউদ্দিন, মো. আরব মিয়া, আলী আহম্মেদ, মো. নূরুল আফসার, মো. কলিমউদ্দিন, মো. জালাল উদ্দিন, হেমন্ত বাইন, এবিএম মোরশেদুল হক, মো. সাইফুল্লা মিজান, শামসুল হাদী, মো. বশির আলম, মাহবুবুর, মাহবুবুর রহমান,মো য়াজ্জেম হোসেন ও প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০০১ সালের প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমেটেডের ভুয়া শেয়ার সার্টিফিকেট পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখায় আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে জমা রাখেন। এ ভুয়া শেয়ার সার্টিফিকেট জমা রেখে আসামিদের মধ্য থেকে ১২ জন প্রত্যেকে ২০ লাখ টাকা করে ব্যাংক থেকে উঠিয়ে নেয় বলে মামলার বিবরণে অভিযোগ রয়েছে।

এসআই/একে/আরআইপি