৪৭২ কোটি টাকায় আধুনিকায়ন হচ্ছে শাহ আমানত
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দরটির রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তি বাড়ানো হবে। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। আধুনিকায়নের কাজটি বাস্তবায়ন করবে যৌথভাবে মেসার্স মির আকতার এবং সিএএমসিই।
এ-সংক্রা্ন্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার (৩১ জুলাই) কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামকে আমরা বলছি কমার্শিয়াল হাব। চট্টগ্রামকে কমার্শিয়াল হাব হিসেবে রূপা্ন্তর করতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে। এর ফলে এ বিমানবন্দরে বড় বড় এয়ারক্রাফট উঠানামা করতে পারবে।’
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিগত ১৯৯৮-২০০১ সময়ে জাপানের অর্থায়নে এ বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হয়। ওই সময়ে রানওয়ে সম্প্রাসরণসহ বিটুমিনাস কংক্রিটের মাধ্যমে বিদ্যমান রানওয়ের শক্তিবৃদ্ধিকরণ কাজও সম্পাদন করা হয়। তখন রানওয়ের পেভমেন্ট ক্লাসিফিকেশন নম্বর (পিসিএন) ছিল ৬৬, যা ডিসি-১০-৩০ জাতীয় বিমান চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছিল।
বর্তমানে এ বিমানবন্দরে বোয়িং-৭৭৭ জাতীয় সুপরিসর বিমান চলাচল করছে।
সূত্র জানায়, রানওয়ের বিটুমিনাস কংক্রিটের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল অনেক আগেই শেষ হয়েছে এবং পিসিএন অনেকাংশে কমেছে। কিন্তু বিমানবন্দরে যাত্রী, কার্গো ও বিমান চলাচলের সংখ্যা ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার গুণ বেড়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি), বুয়েটের সমীক্ষা অনুযায়ী, রানওয়ের বর্তমান পিসিএন ৪৬ কিন্তু বোয়িং ৭৭৭ জাতীয় বিমান চলাচলের পিসিএন দরকার ৯০। এ অবস্থায় বোয়িং-৭৭৭ জাতীয় সুপরিসর বিমানের নিরাপদ অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য চট্রগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে শক্তিশালী করতে জিওবি অর্থায়নে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ৫৪০ কোটি ৫২ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি ২০১৮ সালের ৫ মার্চ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয় বলে জানা গেছে।
এমইউএইচ/এসআর/পিআর