‘এখন রেমিট্যান্স পাঠালেও প্রণোদনা পাওয়া যাবে’
চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেটে রেমিট্যান্সের ওপর দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা না হওয়ায় এখনও এটি কার্যকর করতে পারেনি সরকার। তবে ১ জুলাই থেকে যারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন তাদের ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সোমবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৩০ জুন সংসদে বাজেট পাস হয়েছে। ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। তবে এগুলোকে ফাংশনালের জন্য কিছু সময় লাগে। লিগ্যাল ওয়েতে রেমিট্যান্স বাড়ানো জন্য এ অর্থবছর থেকেই ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয়া হবে। এটা আমরা বাজেটে পাস করেছি। কিন্তু সিস্টেম এখনও ডেভেলপ করতে পারিনি। প্রণোদনা দেয়ার জন্য সিস্টেম আপডেট করতে আরও দুই-তিন মাস সময় লাগবে।
তিনি বলেন, সামনে ঈদ অনেকেই ধারণা করছেন এখন দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে তারা প্রণোদনা পাবেন না, এটা কিন্তু ঠিক না। এটা যেহেতু বাজেটে পাস হয়েছে সেহেতু এখন রেমিট্যান্স পাঠালেও দুই শতাংশ প্রণোদনা ছয় মাস পর হলেও পাবেন। এখন পাঠালেও পাবেন, পরে পাঠালেও পাবেন। অর্থাৎ ১ জুলাই থেকেই যারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন তারাই ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা পাবেন। এক্ষেত্রে সিস্টেমটা ডেভেলপমেন্ট করতে আমরা দ্রুত কাজ করে যাচ্ছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। এক্ষেত্রে কোনো ট্যাক্স কাটা হবে না। কেউ ১০০ টাকা রেমিট্যান্স পাঠালে ১০২ টাকা পাবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ট্যাক্স বা সার্ভিস চার্জ কাটা হবে না।
এদিকে রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দিলে এতে কী ধরনের প্রভাব পড়বে-বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রেমিট্যান্সে নগদ প্রণোদনা দেয়া হলে হুন্ডি ব্যবসা নিরুৎসাহিত হবে। ফলে চলতি হিসাব তথা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
আরও বলা হয়, প্রণোদনা দেয়ার ফলে বছরে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসবে। এ ক্ষেত্রে প্রণোদনা বাবদ সরকারের ব্যয় হবে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা।
তবে এ প্রতিবেদনে মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ৭০-৮০ লাখ অ্যাকাউন্টে রেমিট্যান্সের প্রণোদনা বাবদ অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা করা।
এমইউএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ