জনতা ব্যাংকে কর্মী অসন্তোষ
ইনসেনটিভ বোনাসকে কেন্দ্র করে জনতা ব্যাংকে কর্মী অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ঈদের আগে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ইনসেনটিভ বোনাসের দাবিতে আন্দোলন করেছে ব্যাংকটির কর্মীরা।
রোববার ব্যাংকটির মতিঝিল প্রধান কার্যালয়ে ইনসেনটিভ বোনাসের দাবিতে আন্দোলন করা হয়। ‘জনতা ব্যাংক গণতান্ত্রিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ এর নেতৃত্বে আন্দোলন করেন ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, এর আগে প্রতি বছর জুন-জুলাইয়ে ইনসেনটিভ বোনাস হত। এ বছর ঈদের আর কয়েকদিন বাকি, কর্তৃপক্ষ বোনাস দেয়ার কোনো কথা বলছে না। তাই ইনসেনটিভ বোনাসের দাবিতেই আমরা আন্দোলনে নেমেছি।
তারা বলেন, ম্যানেজমেন্টের দুর্নীতি ও পর্ষদের ব্যর্থতার কারণে লাভজনক জনতা ব্যাংক এখন লোকসান করছে। এতে সাধারণ কর্মচারীদের কি দোষ। সাধারণকর্মীরা কোনো দুর্নীতি করে না এবং তাদের কোনো ব্যর্থতাও নেই। তাই যত দ্রুত সম্ভব ইনসেনটিভ বোনাস পরিশোধের দাবি জানান তারা। তাদের দাবি নিয়ম অনুযায়ী চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর আসেনি।
এর আগে, ঈদের আগে ইনসেনটিভ বোনাসের দাবিতে জনতা ব্যাংক সিবিএর পক্ষ থেকে গত ২৪ জুলাই চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক গণতান্ত্রিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপ্রতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে জনতা ব্যাংকে প্রতি বছর ঈদুল আজহার আগে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ইনসেনটিভ বোনাস প্রদান করা হয়। কিন্তু এ বছর ঈদুল আজহা এসে পড়লেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালের ব্যালেন্সশিটে ব্যাংকে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ইনসেনটিভ বোনাস প্রদান করার জন্য প্রভিশন রাখা হয়েছে।
তাই ঈদের আগে ইনসেনটিভ বোনাস দেয়ার দাবি জানান তিনি। আর এ বোনাস না দিলে ব্যাংকের মধ্যে কোনো অপ্রতিকর ঘটনা ঘটলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এ দায় বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুছ ছালাম আজাদের সঙ্গে জাগো নিউজ থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এসআই/এমআরএম/পিআর