ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ২৫ জুলাই ২০১৯

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের বাণিজ্য উন্নয়নে মেধার বিকল্প নেই। বাণিজ্যের উন্নয়ন মানেই দেশের উন্নয়ন। মেধা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। দেশে বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যবসায়ীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের বার্ষিক সাধারণ সভা-২০১৯-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই বলেন, বাণিজ্যের জন্য আমরা দ্বার খুলে দেব। দেশে ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করতে বাংলাদেশ সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন অফিসগুলোকে ডিজিটাল করা হয়েছে। এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে জিএসপি সুবিধা পেতে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই নিজেদের সার্টিফিকেট ইস্যু করবেন। ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, জয়েন্ট স্টক কোম্পানির কাজ এখন অনলাইনেই করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন অতি সহজেই ব্যবসা করা যায়। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজীকরণে অনেক এগিয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা মোতাবেক ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হবে। বর্তমান সরকারকে বলা হয় ব্যবসাবান্ধব সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের জন্য সরকার সবকিছুই করবে। গতবছর বাংলাদেশ ৪০.৫৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। এটা ছিল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৫৫ ভাগ। আগামী ২০২১ সালে দেশের মোট রফতানির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশে এখন কোনো খাদ্যসংকট নেই। সরকার ইতোমধ্যে ২ লাখ টন চাল রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের রিসার্স ডিরেক্টর ড. এম এ রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ড, ইন্টারন্যাশনাল অরর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের চিফ অব মিশন জিওরজি গিগাউরি।

এমইউএইচ/এসআর/এমকেএইচ

আরও পড়ুন