৪৪৩ কর্মী পেলেন ৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা
বীমাদাবি বাবদ ৪৪৩ জন তৈরি পোশাককর্মী পেলেন ৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া একটি তৈরি পোশাক কারখানা পেয়েছে ২৬ লাখ টাকা। শ্রমিক ও কারখানা মিলে মোট পেল ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণায়ের কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে এ অর্থ দেয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভারপ্রাপ্ত শ্রমসচিব কে এম আলী আজম তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএইএর প্রতিনিধিদের হাতে এ অর্থের চেক তুলে দেন।
বিজিএমইএর পক্ষে চেক গ্রহণ করেন সংগঠনটির পরিচালক নজরুল ইসলম এবং বিকেএমইএর পক্ষে চেক নেন সংগঠনটির দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলি শামিম এহশান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক ডা. এ এম এম. আনিসুল আউয়াল।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় বিজিএমইএর অধীন কারখানার ২৯২ জন কর্মীকে ২ লাখ টাকা করে মোট ৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা দেয়া হয়। এ ছাড়া বিজিএমইএর অধীন স্টার গার্মেন্টস লিমিটেড নামক একটি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানটিকে ২৬ লাখ টাকা দেয়া হয়। বিকেএমইএর অধীন কারখানার কর্মীদের জন্য ৩ কোটি ৪ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী আজম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে দুর্ঘটনাজনিত ও কর্মরত অবস্থায় স্বাভাবিক মৃত্যুজনিত কারণে বীমার আওতায় শ্রমিকদের দুই লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। আজকে আমরা বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার বীমাদাবির চেক হস্তান্তর করলাম। এর মধ্যে বিজিএমইএকে দেয়া হলো ৬ কোটি ১০ লাখ আর বিকেএমইএকে দেয়া হলো ৩ কোটি ৪ লাখ।’
তিনি বলেন, ‘শ্রমিক ও কলকারখানা ছাড়া রাষ্ট্রযন্ত্র চিন্তা করা যায় না। এই খাতে যত দ্রুত উন্নয়ন হবে দেশও তত দ্রুত উন্নত হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দর্শনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সকলের সহযোগিতা এ কাজকে আরও সহজ করে তুলবে৷’
শ্রমিকরা যাতে সময়মতো বেতনভাতা পান এবং এ নিয়ে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য রাখতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে, গত ঈদে সময়মতো বেতনভাতা দেয়ায় ধন্যবাদ জানান।
এমইউএইচ/এসআর/পিআর