লেনদেন শুরুর আগে ইপিএস কমার তথ্য দিল সী পার্ল
পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা রয়েল টিউলিপ ফ্রাঞ্চাইজ সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’র চলতি বছরের প্রথম তিন মাস (জানুয়ারি-মার্চ) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় কমেছে।
যার প্রভাবে ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসের (২০১৮ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ) হিসাবেও কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা আগের বছরের তুলনায় কমেছে।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করা সী পার্লের শেয়ার আজ মঙ্গলবার থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হবে। শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর আগেই কোম্পানিটি অর্থিক অবস্থার এ অবনতির তথ্য প্রকাশ পেল। কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ডিএসই জানিয়েছে, শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমলেও কোম্পানিটির মোট মুনাফার পরিমাণ বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা করে মুনাফা করেছে ২ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
রিসোর্টের বিভিন্ন কক্ষের ইনটেরিয়র, ফিনিশিং ও আসবাবপত্র ক্রয়, জমি ক্রয় এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতের ব্যয় মেটাতে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নিয়ে কক্সবাজারের এই পাঁচ তারকা হোটেলটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এ জন্য প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নেয়া হয় ১০ টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আইপিও আবেদন গ্রহণের পর ২৩ মে লটারির মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর ২৬ জুন লটারিতে শেয়ার বরাদ্দ পাওয়া বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে তা প্রেরণ করা হয়।
ইতোমধ্যে আইপিও বিজয়ীদের শেয়ার বুঝিয়ে দিয়েছে কোম্পানিটি এবং শেয়ারবাজারে শেয়ার লেনদেনের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন নিয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের দেয়া অনুমোদন বলেই আজ মঙ্গলবার থেকে ‘এন’ গ্রুপের আওতায় সী পার্লের শেয়ার লেনদেন শুরু হবে।
লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইকে কোম্পানিটি জানিয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ব্যবসা করে কর প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে মুনাফা হয়েছে ২৮ পয়সা; যা গেল বছরের একই সময়ে ছিল ৩৮ পয়সা। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ১০ পয়সা। অবশ্য এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা বেড়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের মতো ২০১৮ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসের হিসাবেও কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা কমেছে। ২০১৮ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যবসা করে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬১ পয়সা; যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৭ পয়সা। এ হিসাবে আগের বছরের তুলনায় প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে মুনাফা কমেছে ৬ পয়সা।
এমএএস/এনএফ/জেআইএম