বাজেটের চাপ খাতুনগঞ্জে, ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছেই
বাজেট ঘোষণার পর থেকেই চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে প্রতিদিনই। ভ্যাট, ট্যাক্স আর আমদানিতে অগ্রিম কর আরোপের চাপ পড়েছে বাজারটিতে, বলছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, বাজেট ঘোষণার পরপরই হঠাৎ লাফ দিয়ে বাড়তে শুরু করে চিনি এবং গুঁড়া দুধের দাম। পরের সপ্তাহ থেকে বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন, তেলসহ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
আরও পড়ুন> বাজেটে কী পেল জনগণ?
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে কেজিপ্রতি চিনির দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা আর গুঁড়া দুধের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। কেজিপ্রতি মার্কস গরুর দুধ ৫৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৯৫ টাকায়। আর ১৫ টাকা বেড়ে ডানো বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রসুনের দাম। কেজিপ্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে। অথচ গত রোজার ঈদের সময় মানভেদে প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১১০ টাকায়।
রমজানের ঈদের আগে পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি আদার দাম ছিল মানভেদে ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে সেই আদার দাম এখন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।
আরও পড়ুন>ইতিহাসের বড় বাজেট পাস হচ্ছে আজ
বাজেটের প্রভাব আছে ভোজ্য তেলের বাজারেও। খাতুনগঞ্জে প্রতিলিটারে ২-৫ টাকা বেড়ে পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে ৫৪ টাকায় এবং সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকায়। এছাড়া বেড়েছে গরম মসলার দামও। পাইকারিতে এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকায় ও দারুচিনি ৩৫৬ টাকায়। অথচ রোজার ঈদের আগে এলাচ বিক্রি হয়েছিল ২০০০ হাজার থেকে ২০৫০ টাকায় এবং দারুচিনি ৩২০ টাকায়।
খাতুনগঞ্জের জনতা ট্রেডার্সের ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন, ‘এবারের বাজেটে ভোগ্যপণ্যের কিছু কিছু আইটেমে ৫ শতাংশ আগাম কর নির্ধারণ করা হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। এছাড়া আমদানি পর্যায়ে শুল্ক বাড়ায় তেল, চিনি এবং গুঁড়া দুধের দাম বেড়েছে।’
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর মূল বাজেটের আকার দাঁড়ায় চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, রাজস্ব আদায় করতে না পারা এবং উন্নয়ন প্রকল্পে পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থ খরচ করতে না পারায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয় ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটের আকার সংশোধিত বাজেট থেকে ৮০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা বেশি।
এমআরএম/এমএস