উন্নয়নে কোরিয়াকে অনুসরণ করতে চায় সরকার
>> দুইদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া এখন এশিয়ার শিল্পখাতে রোল মডেল। তাদের মাথাপিছু আয় ৩০ হাজার ডলার। তারা যেভাবে উন্নত হয়েছে আমরা সে স্টাইলে যেতে চাই। তাদের পদ্ধতি গ্রহণ করতে চাই।
মঙ্গলবার (২জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু ক্যাং ইলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। এ সময় বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
টিপু মুনশি বলেন, ‘আগামী ১৩ জুলাই বিকেলে দুইদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়োন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একশ’ ব্যবসায়ীসহ ৪০ থেকে ৫০ জন সরকারি কর্মকর্তা আসবেন। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ১৪ জুলাই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।’
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিভিন্ন বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুইদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসবেন। তার আরও আগে আসার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসতে পারেনি।’
কোরিয়া বিভিন্ন হেভি-মেশিনারি, পাওয়ার জেনারেশন, অবকাঠামোসহ যে সকল খাতে তারা অভিজ্ঞ সেসব খাতে দেশে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তাদের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ সম্পর্কে যথেষ্ট জানে। তাদের কাছে বাংলাদেশ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আগামী ১৪ জুলাই বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার দুটি ইপিজেড রয়েছে। চট্টগ্রামে কেইপিজেড নামে যে শিল্পাঞ্চল রয়েছে সেখানে তারা অনেক কাজ করেছে। তবে এখনো অনেক জায়গা ফাঁকা পড়ে আছে। তাদেরকে এ বিষয়ে জানানো হলে তারা জানান, নতুন করে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আবার তাদের সঙ্গে বসা হবে।’
কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সফরে কোনো এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ‘গত আট বছরে কোরিয়ায় আমাদের রফতানি বেড়েছে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার। তবে আমাদের আশা আরও বেশি। সে নিয়ে আলোচনা হবে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে। তবে এ সময়ে কোনো সমঝোতা চুক্তি হবে না। তবে আমরা কাগজপত্র তৈরি করছি।’
এমইউএইচ/এসআর/এমএস