ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় প্রকল্প তদারকির নির্দেশ শিল্পমন্ত্রীর
সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় একটি পৃথক প্রকল্প গ্রহণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর/সংস্থার ২০১৯-’২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জনগণের প্রতি সরকারের অঙ্গীকার পূরণে সরকারি কর্মকর্তাদের আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের ভিশন, মৌলিক পরিকল্পনা ও নীতিসমূহের আলোকে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ এবং সেগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করার যে দায়িত্ব সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর রয়েছে সে দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের অবহেলা ও দুর্নীতি মেনে নেয়া হবে না।’
প্রতিটি প্রকল্প এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য একটি পৃথক প্রকল্প গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প পরিচালকদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রকল্প এলাকায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করতে হবে।’
জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালনকালে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি। শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে সব সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে সেগুলোর আধুনিকায়নের মাধ্যমে পূর্ণ উৎপাদন ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে। মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করে লোকসান থেকে বেরিয়ে লাভজনক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে হবে।’
বারবার টেন্ডারের মাধ্যমে সময় ও অর্থের অপচয় না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান শিল্প প্রতিমন্ত্রী। রমজানে বিএসটিআই পরিচালিত ভেজালবিরোধী অভিযান জনগণের প্রশংসা কুড়িয়েছে উল্লেখ করে বছরজুড়ে এ ধরনের অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব বলেন, ‘দেশে লবণের কোনো ঘাটতি নেই। তবে ভুল তথ্য দিয়ে কোনো কোনো মহল জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘যে সব শিল্পনগরী বা পার্কে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরিষেবার ঘাটতি আছে সেগুলো পূরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
এসআই/এনডিএস/এমএস