‘দুগ্ধ-শিল্প ধ্বংস করতে গুঁড়া দুধ আমদানি’
দেশের উদীয়মান দুগ্ধ-শিল্পকে ধ্বংস করতে একটি মহল সর্বদা গুঁড়া দুধ আমদানির পক্ষে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করে সংগঠনটি।
সংগঠনটির সভাপতি ইমরান হোসেনের অভিযোগ, আমদানি করা গুঁড়া দুধের ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং ট্যাক্স আরোপের নীতিমালা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
ইমরান হোসেন বলেন, ‘ভর্তুকিপ্রাপ্ত দেশের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতায় ফেলে বাংলাদেশের দুগ্ধ-শিল্পকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ ডেনমার্কের ‘আরলা’ তাদের খামারিদের হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে থাকে। অথচ বাংলাদেশের দুগ্ধ খামারিরা কোনো ভর্তুকি পায় না। ডেনমার্কের ভর্তুকিপ্রাপ্ত এসব ভেজিটেবল ফ্যাটমিশ্রিত দুধ কম দামে আমদানি করে বাংলাদেশের দুগ্ধ-শিল্পকে ধ্বংস করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এসব ভর্তুকিপ্রাপ্ত দুধ বাংলাদেশের কৃষকদের অসম প্রতিযোগিতায় ফেলে বিপদগ্রস্ত করছে।’
দেশের দুগ্ধ-শিল্পকে বাঁচাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে আমদানি করা গুঁড়া দুধের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের দাবি জানিয়েছে এ সংগঠন।
তাছাড়া দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ দুধ এখন দেশেই উৎপাদন হয়। গত সাত বছরে দুধের উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণ। এ অবস্থায় আমদানি শুল্ক পর্যায়ক্রমে কিছুটা বাড়িয়ে দেশীয় দুগ্ধ-শিল্পকে প্রণোদনা ও সরকারি সহযোগিতা বাড়ানো হলে দুগ্ধ-শিল্প বেঁচে যাবে ও বিকাশ লাভ করবে বলেও মনে করেন ইমরান হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়নের (মিল্কভিটা) চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ এমরান, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাকিবুল রহমান টুটুলসহ অন্য নেতাকর্মী এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
পিডি/বিএ/এমএস