আজও শেয়ারবাজারে বড় দরপতন
বেশকিছু প্রণোদনা দেয়া হলেও নতুন অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রস্তাবিত বাজেটের পর দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতনের প্রবণতা দেখা দিয়েছে। বাজেট প্রস্তাবের পর লেনদেন হওয়া দুই কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে।
আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের সঙ্গে কমেছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে রিজার্ভের ওপর ট্যাক্স আরোপের প্রস্তাবের কারণে বাজারে একধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এতে তালিকাভুক্ত ভালো কোম্পানির প্রসারের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হবে। যার একটি নেতিবাচক প্রভাব আজ শেয়ারবাজারে দেখা গেছে।
প্রস্তাবিত বাজেট বলা হয়েছে, কোনো কোম্পানির বছরে রিটেইনড আর্নিংস, রিজার্ভের সমষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে যতটুকু বেশি হবে তার ওপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ হারে কর প্রদান করতে হবে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৭৫ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১১ ও ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২২৩ ও ১ হাজার ৮৮৯ পয়েন্টে।
দিনভর বাজারটিতে ৫৩৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৯৬ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৭৭টির প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ২৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির।
টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন। কোম্পানিটির ১৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুন্নু সিরামিকের ১৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং ১৪ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে নিউ লাইন ক্লোথিং।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪৮৮ পয়েন্টে। বাজারটিতে হাত বদল হওয়া ২৭০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ১৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির দর। লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
এমএএস/এমআরএম/এমকেএইচ