২০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়তে চায় ইউনিয়ন ক্যাপিটাল
২০০ কোটি টাকার নন কনভার্টেবল বন্ড ছাড়তে চায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ক্যাপিটালের পরিচালনা পর্ষদ। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নিয়ে এ বন্ড ছাড়া হবে বলে সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে জানানো হয়েছে।
কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিএসই জানিয়েছে, প্রাইভেট প্লেসমেন্টে এ বন্ড বিক্রি করা হবে। বন্ডের ফেস ভেলু ১০ লাখ টাকা। বন্ডটি ৭ বছরে অবসায়ন হবে। এর সঙ্গে গ্রেস প্রিয়ড হিসেবে থাকবে ২ বছর।
ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পাওয়ার পর এ বন্ড ছাড়তে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে ২০১৭ সালের ৭ মে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২৫০ কোটি টাকার নন কনভার্টেবল বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের ওই সিদ্ধান্ত অনিবার্য কারণে বাতিল করা হয়।
এদিকে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে মাত্র ৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৮ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে মুনাফা কমেছে ১৩ পয়সা।
মুনাফা কমলেও কোম্পানিটির সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে প্রতিটি শেয়ার বিপরীতে সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৬ পয়সা, যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ১৪ টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ব্যাংকটির সম্পদমূল্য বেড়েছে ৬ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো বা পরিচালন নগদ প্রবাহের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১ টাকা ৫৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ৮ টাকা ৮৮ পয়সা।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪২ দশমিক ৮২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার।
এমএএস/জেডএ/পিআর