কসমেটিকস পাদুকায় ভিড়
আরেক সপ্তাহ পরই পবিত্র ঈদুল-ফিতর। ধর্মীয় এ উৎসবকে কেন্দ্র করে কেনাকাটায় ধুম চলছে। ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে রাজধানীর মার্কেটগুলোতে। অভিজাত সব শপিংমল থেকে সাধারণ মার্কেট সর্বত্রই ঢল মানুষের। ভিড় ঠেলে বেছে বেছে বাজার থেকে পছন্দের পণ্য কিনছেন ক্রেতারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্টার্ন প্লাস, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি শপিং কমপ্লেক্স, মৌচাক, বেইলি রোড, গাজী ভবন, পলওয়েল সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, পোশাকের পাশাপাশি, জুতা, কসমেটিকস, বেল্ট, সানগ্লাস, মানিব্যাগ, ভ্যানিটিব্যাগ এবং ঘর সাজানোর বিভিন্ন পণ্যের দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ব্যস্ত সময় পাড় করছেন বিক্রেতারা।
তবে এত ক্রেতার ভিড়েও প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে না, জানালেন বিক্রতারা।
রাজধানীর মুগদা থেকে ৪ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে মৌচাক এসেছেন আফসানা বেগম। জানালেন, মেয়ের জামা কিনেছেন আগেই। এখন জুতা, চুলের ব্যান্ড ও চুড়ির মতো ছোটখাট কেনাকাটায় এসেছেন।
আরেক ক্রেতা জাফরিন জানালেন, জামা-কাপড় কেনা শেষ। এখন ব্যাগ, কসমেটিকস, কাপড়ের সঙ্গে মানানসই গহনা কিনতে এসেছেন। এ ছাড়া যদি কোনো জিনিস পছন্দ হয় তাহলে কিনবেন।
শপিং করতে আসা আফরোজা জানান, ঈদ শপিং করতে এসেছি। বাচ্চার একটি জামা কিনেছি। এবার সব পণ্যেরই দাম বেশি। ঘুরছি জুতাসহ কিছু জিনিসপত্র কিনব।
গাজী ভবনে এস এস এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ দাম সম্পর্কে জানান, কাস্টমার কী বলবে, আমরাইতো বলছি- বাচ্চাদের কাপড় বেশি দাম। কারণ, আমদানি খরচ বেশি।
তিনি বলেন, ডলাররেট বেড়েছে, এর সঙ্গে ভ্যাটসহ বিভিন্ন খরচ যোগ করলে প্রতিটি পণ্যে আগের চেয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি খরচ লাগছে। সব মিলিয়ে দাম বেড়েছে।
ব্যবসা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসা হচ্ছে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী নয়। আমরা সারাবছর ঈদের অপেক্ষায় বসে থাকি। এখন অনলাইন শপিংয়ের কারণে বিক্রি অনেক কমে গেছে। আবার অনেকে ভারতে গিয়ে শপিং করে। তাই আগের তুলনায় ব্যবসা কমে গেছে।
বিভিন্ন মার্কেটের জুতার দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। ক্রেতারা কাপড়ের সঙ্গে মানিয়ে পছন্দের জুতা কিনতে দোকানে দোকানে ঘুরছেন।
ডরিন ব্র্যান্ডের সু বিক্রিয় কর্মী আসিফ বলেন, রমজানের প্রথম ২০ দিন তো তেমন কোনো কাস্টমার ছিল না। গত কয়েকদিন ধরে কাস্টমার বেড়েছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
ঈদের বাকি দিনগুলোয় বিক্রি আরও বাড়বে বলে এ বিক্রয়কর্মীর প্রত্যাশা।
সিটি হার্ট শপিং সেন্টারের বৃষ্টি কসমেটিকসের এক বিক্রয়কর্মী জানান, এতদিন কাস্টমার ছিল না। এখন আসছে। জামা-কাপড় কেনা শেষ। এখন কসমেটিকস কিনছে। আশা করছি, বিক্রিও বাড়বে।
এসআই/জেডএ/জেআইএম