লেনদেন বাড়লেও কমেছে সূচক
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে প্রধান মূল্যসূচক। ডিএসইর পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচকের পতন হয়েছে।
এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৫০ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯২ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্যসূচকে এই উত্থানের দিনে ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমে তার থেকে বেশি। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৪টির এবং দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির।
মূল্যসূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩১৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯০ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
বাজারটিতে টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ২২ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৪২ লাখ টাকার লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ব্র্যাক ব্যাংক এবং ১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা লেনদেনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে রানার অটোমোবাইল।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ইন্টার্ন কেবলস, মুন্নু সিরামিক, ফরচুন সুজাতা, গ্রামীণফোন, প্রাইম ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স এবং গ্রিন পাওয়ার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭০৮ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার। লেনদেন অংশ নেয়া ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ১১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির।
এমএএস/এমবিআর/পিআর