ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

মজুত ভালো, চাপ পড়বে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৪২ পিএম, ০৬ মে ২০১৯

রমজান মাস সংযমের মাস। এই মাসে ব্যবসায়ীদের সততার সঙ্গে ব্যবসা করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আমাদের মজুত পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমরা সার্বিকভাবে সন্তুষ্ট। এবার রমজানে মানুষের উপর চাপ পড়বে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, চালের দাম কমেছে, তাই কৃষকদের কাছ থেকে চাপ আসছে। রোজাকে সামনে রেখে আমাদের বাজার মনিটরিং টিম যথেষ্ট সচেতন আছে। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের রমজানে কোনো সুযোগ না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ (সোমবার) সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি টেলিভিশন ওর্নাস অ্যাসোসিয়েশনের (অ্যাটকো) সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের ক্রেতাদের একটি অভ্যাস হলো উৎসব হলে বেশি বেশি করে ক্রয় করে চাহিদা বাড়িয়ে দেয়। তারা সব একবারে একসাথে কিনতে চায়। ফলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেয়ে যায়। তাই রমজানে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে সংযমী হয়ে চলতে হবে। যথেষ্ট মজুত আছে তাই কোনো রকমের ঘাটতি হবে না।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে শাক-সবজির দামসহ পিঁয়াজ ও চিনির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে দেশের বাজারে বৃহত্তর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ তেলের দাম দুই টাকা কমিয়েছে। রোজাকে সামনে রেখে ছোলার দাম বাড়ার সুযোগ নেই। ছোলা বিভিন্ন ধরনের রয়েছে, কোন ছোলা ৬০ টাকা, আবার কোন ছোলা ১০০ টাকা। ছোলা যা দরকার তার চেয়েও বেশি মজুত রয়েছে।

টিপু মুনশি বলেন, রমজানে প্রতিদিন মন্ত্রণানালয়ের চারটি টিম রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করবে। তবে এতো বড় বাজার চারটি টিম দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আগামীতে আমাদের জনবল বাড়ানোর জন্য আলোচনা চলছে। রাতারাতি জনবল বাড়ানো যায় না।

দ্রব্যমূল্য সহনীয় অবস্থায় আছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, কিছু পণ্যের দাম যেমন দুই এক টাকা বেড়েছে তেমনি কিছু পণ্যের দাম কমেছেও। ২০১৭ আর ২০১৮ সালে রমজানের সময় যে দাম ছিল, তার চেয়ে এখন দাম অনেকটাই কমেছে। কোনো কোনো জায়গায় দাম বেড়েছে, কিন্তু সব জায়গায় না।

এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, সেটি আমরা দেখছি। রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে আমরা পুলিশ ও প্রশাসনকে বলেছি। নইলে তা পণ্যের ওপর প্রভাব পড়ে। আমরা শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। জেলাপ্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এ জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।

এমইউএইচ/এনএফ/পিআর

আরও পড়ুন