ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

দুদক আতঙ্কে বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ০২ মে ২০১৯

রাষ্ট্রায়ত্ত আকাশ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চলছে সংস্কার অভিযান। সংস্থাটির অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যে কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটিতে কর্মরতদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজমান।

এয়ারলাইন্স বিশেষজ্ঞদের মতে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নেয়া এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের পর বিমানের চিরায়ত লোকসানের সেই চেনা রূপ আর থাকবে না। তখন বিশ্বের নামিদামি এয়ারলাইন্সের কাতারে শামিল হবে বিমান।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিমান রাষ্ট্রের সম্পদ। দেশের আপামর জনগণ রাষ্ট্রয়ত্ত এই সংস্থার মালিক। এখানে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। দুর্নীতি বন্ধে যা যা করণীয় সব করা হবে। নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে এবং নতুন নতুন রুট খোলা হবে। ইতোমধ্যে এসব নিয়ে কাজও চলছে।’

তিনি আরও জানান, শিগগিরই বিমানের পাঁচটি রুট যোগ হতে যাচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যেই নতুন এ পাঁচটি রুট যোগ করতে চায় বিমান।

জানা গেছে, বিমানের এই পাঁচটি রুট হলো সৌদি আরবের মদিনা, ভারতের রাজধানী দিল্লি, ব্যবসার জন্য চীনের জনপ্রিয় নগরী গুয়াংজু, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো এবং মালদ্বীপের রাজধানী মালে। এর মধ্যে মদিনা ও দিল্লির ফ্লাইট পরিচালনার শিডিউল ইতোমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। গুয়াংজুর ফ্লাইটটি চীনের সিভিল এভিয়েশন অথরিটির অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।

উল্লেখ্য, বিমানের সুদিনে একসময় বিমান সর্বোচ্চ ২৮টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করত। তবে নানা জটিলতা ও অজুহাতে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক গন্তব্যের ফ্লাইটই বন্ধ করে দেয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৩ সালে মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করে বিমান।

বিমানের মুখপাত্র শাকিল মেরাজ বলেন, ‘বিমান এখন থেকে নতুন রুট ও নিজস্ব এয়ারক্রাফট কেনাকে প্রাধান্য দেবে। নিকট ভবিষ্যতে বিমানের বহরে নতুন দুটি ড্রিমলাইনার যুক্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আরএম/এসআর/পিআর

আরও পড়ুন